বিজেপি জুজু, এক ঘাটে দীপক-সাধন

পুরসভা নির্বাচনের আগে চাকদহে ঘর গোছাচ্ছে তৃণমূল। 

Advertisement

সৌমিত্র সিকদার

চাকদহ শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২১
Share:

প্রতীকী ছবি

পুরসভা নির্বাচনের আগে চাকদহে ঘর গোছাচ্ছে তৃণমূল।

Advertisement

বিবদমান দুই পক্ষের নেতারাই বুঝেছেন, দল ক্ষমতায় না থাকলে কারও কোন মূল্য থাকবে না। গোষ্ঠী কোন্দল জারি থাকলে বিজেপির লাভ। তাঁদের গুড়ে বালি।

আগের পুরসভার মেয়াদ শেয হয়ে যাওয়ায় আপাতত চাকদহ পুরসভার দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসক, কল্যাণী মহকুমাশাসক ধীমান বারুই। কয়েক মাস আগে লোকসভা ভোটে এখানে ২১টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই চাকদহ শহরের দুই নেতা দীপক চক্রবর্তী এবং সত্যজিৎ বিশ্বাস ওরফে সাধন রবিবার একই মঞ্চে সভা করলেন। দীপক চাকদহ পুরসভার প্রাক্তন প্রধান, দলের চাকদহ শহরের সভাপতি। সাধন চাকদহ শহর যুব তৃণমূল সভাপতি।

Advertisement

গত তিন বছর ধরে দীপক ও সাধনের বিরোধের কথা শহরের সকলেই কম-বেশি জানেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা সভা-পাল্টা সভা, এমনকি মিছিল-পাল্টা মিছিলও করেছেন। সভায় কে কত লোক নিয়ে যেতে পারে, মিছিলে কে কত ভিড় জমাতে পারে, তা নিয়েও ঠান্ডা লড়াই চলেছে। দু’জনের বিরোধ নিয়ে বারবার অস্বস্তির মুখে পড়েছেন দলের রাজ্য তথা জেলা নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের কয়েক বার বসতেও হয়েছিল। তবে তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি।

এ বার কিন্তু সেই ছবিটা পাল্টাকে শুরু করেছে। শনিবার সকাল ১১টায় চাকদহ বাসস্ট্যান্ডে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। সেখানে অন্য নেতানেত্রীদের সঙ্গে দীপক চক্রবর্তী ও সাধন বিশ্বাসকেও মঞ্চে হাজির থাকতে দেখা যায়। তাঁদের অনুগামী বলে পরিচিত নেতা-কর্মীরাও সভায় হাজির হয়েছিলেন।

তবে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক অশোক বিশ্বাসেক দাবি, “বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ওরা বুঝতে পারছে, এ বার আমরাই চাকদহ শহরে ক্ষমতায় আসতে চলেছি। কিন্তু এতে কাজ হবে না। মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। এ বার তাঁরা আমাদেরই চাকদহ শহরের দায়িত্ব দেবেন।”

প্রাক্তন পুরপ্রধান দীপক চক্রবর্তী পাল্টা দাবি করেন, “চাকদহ শহরে জেতা ওদের স্বপ্নই থেকে যাবে। এই শহরে বিজেপি বলে কিছু নেই। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে কিছু বিজেপি তৈরি হয়েছিল। আগামী দিনে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।” আরও এক ধাপ এগিয়ে যুবনেতা সাধন দাবি করেন, “আসন্ন পুরভোটে ২১টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতে আমরা জয়ী হব। বিজেপি ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যাবে। কথা বলার লোক থাকবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement