প্রতীকী ছবি।
আবেগ, ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে সচেতনতা এবং সতর্কতাতেও। সঙ্গে মেনে চলা হবে আদালতের নির্দেশও। রাস উৎসবের আগে শান্তিপুরে শনিবার প্রশাসন এবং উদ্যোক্তাদের বৈঠকে জোর দেওয়া হল সচেতনতার উপরেই।
এক দিকে বিগ্রহবাড়ির ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব, অন্য দিকে নানা বারোয়ারির আকর্ষণীয় থিম। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধনের সম্পদ সমৃদ্ধ করে এসেছে শান্তিপুরের রাস উৎসবকে। তবে এই বছরের অতিমারির আবহে সেই উৎসব পালনেও সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। জগদ্ধাত্রীপুজো পার করেই রাস উৎসব। শনিবার শান্তিপুর থানায় তারই প্রস্তুতি বৈঠক হল প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের। মণ্ডপ খোলামেলা করতে বলা হয়েছে, পাশাপাশি মণ্ডপ এবং সংলগ্ন এলাকা নিয়মিত ভাবে স্যানিটাইজ় করানোর উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকায় জমায়েত যাতে না হয়, সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। শান্তিপুর শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর সংখ্যায় বারোয়ারির রাস উৎসব পালিত হয়। এ ছাড়াও রয়েছে নানা বিগ্রহ বাড়ির রাস। রাসের সময়ে মানুষের ঢল নামে অদ্বৈতভূমিতে। তবে এই বছর বিধি মেনে রাসের উপরেই জোর দিচ্ছেন সকলে। এ দিন প্রশাসনের তরফেও রাসে বিধি মানার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আদালতের যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলার কথাও বলা হয়।
প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে সতর্কতা মেনেই এ বারের উৎসব হবে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। বেজপাড়া কমলেকামিনীর বান্টি বসু, ভারতমাতার মানস দে-রা জানান, প্রশাসন যেমন নির্দেশিকা দেবেন, তা মেনেই তাঁরা এগোবেন। আবার শান্তিপুরের বিগ্রহবাড়ি সমন্বয় সমিতির সম্পাদক শশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “প্রশাসনকে আমরা সব রকম ভাবে সহযোগিতা করব। আমাদের রাসমঞ্চেও বিধি মানার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে।”
শান্তিপুরের পুর প্রশাসক অজয় দে বলেন, “ঐতিহ্যের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, সতর্কতা, সচেতনতা সব মিলিয়েই রাস উৎসব পালিত হবে।”