কেন তল্লাশি বাইরনের বাড়ি, অফিসে? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বুধবার সাতসকালে সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আয়কর দফতর তল্লাশি শুরু করেছে। কিন্তু কেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া শিল্পপতি বাইরনের বাড়িতে আয়কর দফতরের নজর পড়ল? সূত্রের খবর, এর নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘ দিনের নজরদারি। আয়কর দফতরের একটি সূত্রের দাবি, বাইরনের ব্যবসায়িক গতিবিধি সম্পর্কে বেনিয়মের অভিযোগ সম্বলিত একটি চিঠি জমা পড়েছিল আয়কর দফতরে। সেই চিঠি ধরে ধরে তদন্তেই বেশ কিছু সূত্র পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তার প্রেক্ষিতেই বুধবার ভোর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ধরে চলছে তল্লাশি।
বিড়ির কারবারের পাশাপাশি বাইরনের চা বাগানের ব্যবসা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ব্যবসাও। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, চায়ের বাগান এবং হাসপাতালের ব্যবসা থেকে হওয়া আয়কে একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে অন্যত্র বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর হিসাবের খাতায় এই দুই খাতে লোকসান দেখানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এ বছর সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত অভিযোগ পায় আয়কর দফতর। তার পর আয়কর দফতর তিন সদস্যের একটি দল তৈরি করে তদন্তে নামে। সেই দল বাইরনের নামে-বেনামে মোট ২১টি কোম্পানির হদিস পায়। তার মধ্যে ১৭টি কোম্পানির কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার পর গত ২৬ নভেম্বর সেই ‘শেল’ কোম্পানিগুলির চার্টার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্টদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আয়কর কর্তারা। তাঁদের জেরায় মেলা তথ্যের ভিত্তিতেই বাইরনের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তিতে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন আয়কর কর্তারা।
এই কাজে আয়কর দফতর তৈরি করে ১৩ জন আয়কর আধিকারিকের একটি দল। সেই দল মঙ্গলবার রাতেই পৌঁছে যায় মুর্শিদাবাদ। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলিয়ে মোট ৩০ জনের দল। রাতেই তৈরি হয় অভিযানের নীল নকশা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, তাতে ঠিক হয়, মোট তিন দলে ভাগ হয়ে অভিযান চলবে। সেই মতো একটি দল যায় শমসেরগঞ্জে বিধায়কের বাড়িতে। অন্য দু’টি দল যায় বাইরনের হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।