অভিযুক্ত ভুয়ো সিবিআই অফিসার। নিজস্ব চিত্র।
দিনের পর দিন সিবিআই অফিসার সেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! অভিযোগ সামনে আসতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক যুবক। নদীয়ার ধুবুলিয়া থানা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম অনির্বাণ বৈরাগ্য। বুধবার পলাশিপাড়া থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব প্রামানিকের অভিযোগের ভিত্তিতে অনির্বানকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগ, সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লবের বিশ্বাস অর্জন করেন অনির্বাণ। বিপ্লবকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত বেশ কিছু টাকাও হাতিয়ে নেন। টাকা হাতানোর পরই গা ঢাকা দেন তিনি। তবে বিপ্লবের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অনির্বাণকে বুধবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃষানু মিত্র জানান, ‘‘অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে যে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না। আর কারও সঙ্গে অভিযুক্ত প্রতারণা করেছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করে দেখা হবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, বিপ্লবের কাছ থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অগ্রিম কুড়ি হাজার টাকা নেন অভিযুক্ত। আরও বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে জোগাড় করে দিতে বলেন বিপ্লবকে। অনির্বাণের প্রতিশ্রুতিতে বিপ্লব নদীয়ার পাথরঘাটার বাসিন্দা বীথিকা প্রামাণিক ও বর্ধমানের আরও এক চাকরপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকেও ৫০০০ টাকা করে নেন অভিযুক্ত অনির্বাণ। এক মাসের মধ্যে রেলে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন। এর পর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ায় টাকা ফেরত পেতে অনির্বাণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু পুলিশের উচ্চস্তরের কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা বলে হুমকি দিতে থাকেন অভিযুক্ত অনির্বাণ। শেষমেষ অগ্রিম দেওয়া অর্থ ফেরত পাবার জন্য পলাশিপাড়া থানার দ্বারস্থ হন ওই তিন প্রতারিত।