নাবালিকার রহস্যমৃত্যু। প্রতীকী চিত্র।
নিখোঁজ থাকার পর নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ মিলল পুকুর পাড়ে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের কান্দির ভরতপুর এলাকা থেকে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বিয়ে স্থির হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন আগে তা ভেস্তে যায়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বরপক্ষ পণের টাকা আগাম নিয়েও ফেরত দিচ্ছিল না। তা নিয়ে বিবাদের জেরেই ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। বুধবার সকালে তার দেহ উদ্ধার হয় ভরতপুর বাগানপাড়ার একটি পুকুরের পাড় থেকে। ওই কাণ্ডে দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগ। নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে তার সম্বন্ধ করে বিয়ে স্থির করেছিল পরিবার। কিন্তু সে নাবালিকা হওয়ায় আইনি জটিলতায় ভেস্তে যায় বিয়ে। নাবালিকার পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিয়ের স্থির হওয়ার সময় পণ বাবদ বরপক্ষকে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা। বিয়ে ভেস্তে যাওয়ায় তা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল নাবালিকার পরিবার। সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্য়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, যে তরুণের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে স্থির হয়েছিল তাঁর বাবা এবং ভাই বার বার চাপ দিচ্ছিলেন। পণের টাকা ফেরত চাইলে মেয়েকে খুন করার হুমকিও তারা দেয় বলে অভিযোগ। এর পর, মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। তার পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পুলিশে। বুধবার সকালে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ।
এ নিয়ে যে তরুণের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে স্থির হয়েছিল তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার মা। তিনি বলেন, ‘‘বিয়ে ঠিক হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কিন্তু টাকা ফেরত চাইলে মেয়ের হবু দেবর এবং তাঁর শ্বশুর মেয়েকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে করেছে।’’ এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত আইন অনুযায়ী চলবে।’’