বাড়িতে বসেই মহিলাদের গতিবিধির উপর নজর রাখতেন অভিযুক্ত হ্যাকার। প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব জুড়ে শয়ে শয়ে মহিলার অশ্লীল ছবি এবং ভিডিয়ো করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ম্যালওয়্যার ব্যবহার মহিলাদের ওয়েবক্যাম হ্যাক করে নিজের ঘরে বসেই তাঁদের অশ্লীল ছবি এবং ভিডিয়ো দেখতেন ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই।
অভিযুক্তের নাম ক্রিস্টোফার টেলর। বয়স ৬০। এফবিআই সূত্রে খবর, টেলর এক ধরনের ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ৭৭২ জনের ওয়েব ক্যাম নিজের নিয়ন্ত্রণে আনেন। তার মাধ্যমেই মহিলাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলিতে নজরদারি চালাতেন। আর এ ভাবেই সেই সব মহিলাদের ৮০ হাজার ছবি এবং ভিডিয়ো হ্যাক করে নেন টেলর।
গোপন সূত্রে এফবিআই খবর পেয়েছিল যে, ব্রিটেনের এক ব্যক্তি ঘরে বসে মহিলাদের ছবি এবং ভিডিয়ো হ্যাক করছেন। তদন্তের জন্য জর্জিয়ার এক ছাত্রীর ল্যাপটপ পরীক্ষা করে এফবিআই। দেখা যায়, তাঁর কম্পিউটার হ্যাক করা হয়েছে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে। যে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে সেটির লিঙ্ক আবার সরাসরি টেলরের হ্যাকিং সিস্টেমের সঙ্গে জড়িত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ২০১০ সাল থেকে এ ভাবেই হ্যাকিংয়ের কাজ করে চলেছেন টেলর।
এফবিআই সূত্রে খবর, ২০১০-’১৬ সালের মধ্যে টেলর ৮০ হাজার ছবি এবং ভিডিয়ো হ্যাক করেছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার আগে কয়েক হাজার ফাইল ডিলিটও করে দিয়েছিলেন তিনি। কী ভাবে এই হ্যাকিংয়ের কাজ করতেন টেলর? এফবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অশ্লীল ভিডিয়ো এবং ছবির লিঙ্ক পাঠাতেন টেলর। সেই লিঙ্কে কেউ ক্লিক করলেই তা সরাসরি হ্যাক হয়ে যেত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলতেন টেলর।
ডেলি স্টার-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলাকারী নীল ফ্রাইম্যান দাবি করেছেন, টেলরের কাছ থেকে এমন অনেক ছবি মিলেছে যেগুলি খুবই সাধারণ অর্থাৎ কেউ খাচ্ছেন, কেউ শুয়ে আছেন, কেউ কাজ করছেন, এমন ছবি এবং ভিডিয়োও মিলেছে। তবে এমন কয়েক হাজার ছবি মিলেছে যেখানে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ধরা পড়েছে মহিলাদের।