বুধবার সকালে লাভপুরে তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিল ১০০-র বেশি পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
অনুব্রতহীন জেলায় আবার শাসক শিবিরে ভাঙন। বুধবার সকালে বীরভূমের লাভপুরে তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিল ১০০-র বেশি পরিবার। হাতিয়া অঞ্চলের পাঁচটি গ্রাম থেকে এসে লাভপুরের তরুলিয়া হাটে আয়োজিত এক যোগদান কর্মসূচিতে এই পরিবারগুলি সিপিএমে যোগ দেয়।
বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলকে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে শাসক শিবির। অনুব্রতের গরহাজিরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধী গেরুয়া শিবিরও বীরভূমকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে। কিন্তু তার মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে বহু পরিবারের সিপিএমে যোগদান দুই দলেরই জেলা নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করা আব্দুল আলিম বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে আমরা তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করলাম। আমরা তৃণমূলের কর্মী ছিলাম। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কিছু বলতে গেলেই জেলে ভরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। তার জন্য আমরা প্রায় একশোর বেশি পরিবার সিপিএমে যোগদান করলাম।’’
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের দুর্নীতিতে মানুষ ক্ষিপ্ত। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মানুষের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই লোকে আমাদের দলে যোগদান করছে। শুধু লাভপুরে নয়, পুরো বীরভূমেই আমাদের দলে বহু মানুষ অন্য দল ছেড়ে যোগদান করবে।’’
যদিও এই পরিবারগুলির তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়াকে বিশেষ আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁরা তৃণমূল করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে দল করে। তাই দল ছেড়ে তাঁরা যাবেন না। যাঁরা দল ছাড়ছেন তাঁরা হলেন সেই সুবিধাবাদীরা যাঁরা বিধানসভা নিবার্চনের আগে আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন আর এখন আবার সিপিএমে যাচ্ছেন। এতে আমাদের দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’