শোকার্ত পরিবার। বৃহস্পতিবার শান্তিপুরে। নিজস্ব চিত্র।
একই ঘরের মধ্যে এক দম্পতির দেহ উদ্ধার হল শান্তিপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন দিলরুবা ইয়াসমিন (২৮) এবং সাবির শেখ (৩৬)। বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কারিকরপাড়া এলাকায় দিলরুবার বাপের বাড়ি থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। দিলরুবা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে শান্তিপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কারিকরপাড়ার বাসিন্দা দিলরুবার সঙ্গে বিয়ে হয় মালঞ্চ স্ট্রিটের বাসিন্দা সাবির শেখের। সাবিরের সুতোর ব্যবসা আছে। বাড়িতে যন্ত্রচালিত তাঁতও আছে। বিয়ের পরে সেই তাঁতে দিলরুবাও কাজ করতেন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। লকডাউনের সময় থেকে সাবিরের ব্যবসা খুব একটা ভাল চলছিল না বলে জানাচ্ছেন দিলরুবার পরিবারের লোকজন। মাস খানেক আগে দিলরুবা বাপের বাড়িতে আসেন। সাবিরও মাঝেমধ্যে সেখানে যেতেন। বুধবার রাতেও তিনি আসেন। রাতে খাওয়ার পর তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে দিলরুবার এক দাদা মোটরবাইক বের করার জন্য বোন এবং ভগ্নিপতিকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া মেলেনি। পরে তাঁরা টিনের দরজা ভেঙে দেখতে পান, ঘরের মধ্যে খাটে দিলরুবার দেহ পড়ে আছে, আর সেই ঘরেই ঝুলছে সাবিরের দেহ। তাঁরা শান্তিপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
দিলরুবার দাদা সাজাহান কারিকর বলেন, “বোনের দেহ বিছানায় পড়েছিল, গলায় দাগও রয়েছে। আর সাবিরের দেহ ঝুলছিল। বোন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর সে ভাবে কাজ করতে পারত না। তা নিয়ে বোনের শ্বশুরবাড়ির ক্ষোভও ছিল। বোনকে মেরে ভগ্নিপতি আত্মঘাতী হয়েছে।’’