দূরত্ববিধি মেনে নমাজের জন্য কাটা হচ্ছে দাগ। ডোমকলে। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাস রুখতে অনেক ইদ কমিটি ইতিমধ্যে তাঁদের ইদের মাঠে ইদের জামাত বন্ধ করে দিয়েছেন। কোথাও কোথাও আবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ইদ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইদ কমিটির পক্ষ থেকে। সেই সঙ্গে ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা হোম কোয়রান্টিনে থাকা শ্রমিকদের ইদের মাঠে না যাওয়ার জন্যই বলা হয়েছে। মাইকে তা প্রচারও করা হয়েছে। ডোমকলের ইদ কমিটিগুলোর দাবি, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সামাজিক দূরত্ব এবং সরকারি বিধি মেনে যা যা দরকার সে সবই করা হচ্ছে।
ডোমকল কুপিলা গ্রামের ইদ কমিটির সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস বলছেন, ‘‘আমাদের বড় মাঠের এক কোনে ইদ হয় বছর বছর, এ বার সেটা গোটা মাঠ জুড়েই হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে হবে। তা ছাড়াও ইদের দিন রাস্তার ধার দিয়ে যেসকল দোকান বসে সেগুলোকেও পুরোপুরি বন্ধ রাখার জন্য আমরা আবেদন করেছি।’’
জলঙ্গির সব থেকে বড় ইদের জামাত হয় সাদিখাঁরদেয়ার এলাকার বিলাসপুর ইদগাহ মাঠে। এ বার সেখানে পুরোপুরি ইদের জামাত বন্ধ রেখেছে ওই ইদ কমিটি। এতবারনগর এলাকার বাসিন্দা খন্দকার ওমর ফারুক বলছেন, ‘‘আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে ইদ করার জন্য চুন দিয়ে দাগ কেটে ঘর করে দিয়েছি। কোনও রকমের বিধি ভঙ্গ করব না আমরা।’’ জেলা ইমাম সংগঠনের সংগঠক নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলছেন, ‘‘জেলার সমস্ত ইমামদের অনুরোধ রেখেছি কোথাও যেন বিধি ভেঙে জমায়েত না করা হয়। সামাজিক দূরত্ব মেনে ইদের জামাত করতে হবে। ইদের খুতবায় (বক্তব্য) করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখার জন্যেও আবেদন জানিয়েছি আমরা।’’