প্রতীকী ছবি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলল জেলায়। আর তার ফলে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৯১জন। এ দিন সব থেকে বেশি ১৩ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে জিয়াগঞ্জ ব্লকে। এর পর হরিহরপাড়া ব্লকে ১০ জন, ডোমকল ব্লকে ৬জন, রঘুনাথগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের ৩ জন, রঘুনাথগঞ্জ দুই নম্বর ব্লক, বেলডাঙা এক নম্বর ব্লকে একজন, বরোঞা ব্লকে ২জন, খড়গ্রাম ব্লকে এক জন বাটি গ্রামে এক বৃদ্ধ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হদিস পাওয়া গিয়েছে, তাঁকে বহরমপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর্তমানে ভাইরাস তার চরিত্র বদলে ফেলেছে। ফলে লক্ষণ ছাড়া আক্রান্ত্রের সংখ্যাও বেড়েছে। দু-দফায় শয্যা সংখ্যা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে অভিযোগ উঠেছে বেহাল পরিষেবা। আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া পেয়ে এসে একরাশ অভিযোগ উগরে দিয়েছে। কখনও অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের রোগী দেখতে আসা নিয়ে। কখনও অভিযোগ উঠেছে নার্সদের অবহেলা নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে পাইপ লাইন অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের মৃত্যুর পর প্রশ্নটা আরও বেশি করে উঠেছে মানুষের কাছে। যদিও সেই অভিযোগ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এক একজনের প্রত্যাশা এক একরকম। প্রত্যাশা পূরণ না হলেই অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসকরা নিয়ম মেনেই রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।”
করোনা সংক্রমণের গোড়ায় এক মাসের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে একশো শয্যার কোভিড হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তোলা হয় মাতৃসদনকে। সদর হাসপাতালের এই বিভাগটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। ফলে তড়িঘড়ি কোভিড হাসপাতাল হিসাবে এই হাসপাতালকে ব্যবহার করা হলেও তা কখনই আধুনিক ও উন্নত হাসপাতাল হিসাবে তৈরি করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, “দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের পরিকাঠামোও বাড়ানো হচ্ছে। পরিকাঠামোর উন্নতি হলে পরিষেবাও উন্নত হবে।”
এখন ভিআরডিএল টেস্টের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ কমেনি। বহরমপুরের বাসিন্দা সৈকত সরকার বলেন, “আমার লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ না নেগেটিভ, তার জন্য লিখিত কোনও শংসাপত্র মিলছে না হাসপাতাল থেকে।”
যদিও হাসপাতাল সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, “আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের পজিটিভ না নেগেটিভ রিপোর্ট জানিয়ে দিতে পারছি। কারও শংসাপত্রের প্রয়োজন থাকলে তাদের তা দেওয়া হবে লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে।”
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)