ছবি : শাটারস্টক।
কষ্ট করলে তবেই কেষ্ট মেলে! অন্তত এমনই দাবি করা হয়। কিন্তু খাদ্যরসিককে যদি ওজন ঝরাতে বলা হয়? তাঁকে ওই তত্ত্ব বোঝানো মুশকিল। এক নিমেষে তাঁর থালা থেকে বিদায় নেবে লুচি, পরোটা, কচুরি, ওমলেট। বদলে জায়গা নেবে খান তিনেক সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশটুকু। সঙ্গে দই-শসা-চিয়াবীজ কিংবা ফ্যাটবর্জিত দুধ। ফলে সুস্বাদু প্রাতরাশের আশায় ছাই! কিন্তু সত্যিই কি তাই?
প্রাতরাশে সুস্বাদু খাবার খেয়েও ওজন ঝরানোর উপায় আছে। সেই সুস্বাদু খাবারের নাম চিল্লা। এক দিকে যেমন ভরপুর ফাইবার আর প্রোটিন রয়েছে ওই খাবারে, তেমনই রয়েছে স্বাদের বাহার। রইল তেমনই তিন সুস্বাদু চিল্লার সন্ধান।
১। মুগ ডালের চিল্লা
ছবি: শাটারস্টক।
মুগডাল বেটে তাতে স্বাদ মতো নুন, মিষ্টি, ঝাল দিয়ে তৈরি করুন মিশ্রণ। ফ্রাইং প্যানে সামান্য তেল বা ঘি দিয়ে মুগ ডালের মিশ্রণটি অল্প দিয়ে ছড়িয়ে দু’ পাশ ভেজে তুলে নিন। চাইলে শশা, টম্যাটো, পেঁয়াজ কুচি করে কেটে পনিরের সঙ্গে তাওয়ায় নেড়ে ভিতরে পুর হিসাবে দিয়ে দিতে পারেন। অথবা সয়াবিন সেদ্ধ করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন দিয়ে কষিয়েও চিল্লার ভিতরে পুর দিতে পারেন। প্রোটিন, ফাইবারে সমৃদ্ধ এই খাবার পেট ভরিয়ে রাখে অনেক ক্ষণ। শারীরিক শক্তি জোগায়। পেশিকে ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
২। ওট্সের চিল্লা
ছবি: সংগৃহীত।
ওট্স ভিজিয়ে রেখে, তা বেটে নিয়ে নুন-মিষ্টি-মশলা সহযোগে বেটে নিন। ইচ্ছে মতো মশলা দিতে পারেন মিশ্রণে। এ বার চিল্লা ভেজে তুলে তরকারি অথবা ধনেপাতার চাটনি কিংবা দইয়ের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। ওট্স কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী। তা ছাড়া ওট্সে থাকা ফাইবার এবং বিটা-গ্লুকান ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে।
৩। পালং আর ডালের চিল্লা
ছবি: সংগৃহীত।
পালংশাককে ভাল করে ধুয়ে গরম জলে ভাপিয়ে নিয়ে বেটে নিন। আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা ছোলার ডাল সেদ্ধ করে বেটে নিন। দু’টি মিশ্রণ একসঙ্গে মিশিয়ে তার মধ্যে টম্যাটো, পেঁয়াজ, ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা কুচি, স্বাদ মতো নুন মিশিয়ে চিল্লা বানান। পালংশাকে রয়েছে নানা রকম ভিটামিন এবং শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। ছোলার ডালে রয়েছে প্রোটিন। দু’য়ে মিলে পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখে। পালং-ডাল চিল্লা পেটও ভরিয়ে রাখে অনেক ক্ষণ।