প্রতীকী ছবি।
মেশিন এসেছে দিন পনেরো আগে। প্রায় দিন দশেক আগে তা ইন্সটলও হয়েছে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু কেবলমাত্র আইসিএমআরের পক্ষ থেকে আইডি-পাসওয়ার্ড না পাওয়ার ফলে চালু করা যায়নি করোনা পরীক্ষার ট্রু-ন্যাট ওই মেশিন। এমন করোনা পরিস্থিতিতে পরিকাঠামো তৈরি থাকার পরেও কেবল পাসওয়ার্ড না-পাওয়ার ফলেই মেশিন চালু না করতে পারায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এত দামি একটা মেশিন প্রায় সপ্তাহ দুয়েক থেকে পড়ে আছে হাসপাতালে। অথচ সেই ডোমকল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে আমাদের। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, দিন দশেক আগে ইনস্টল হয়েছে ওই মেশিন। তা জানানো হয়েছে আইসিএমআর-কে, তারা পাসওয়ার্ড পাঠালেই পরীক্ষা শুরু হবে।
ডোমকল মহাকুমা হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত চোংদার বলছেন, ‘‘দিন দশেক আগে ওই মেশিন ইনস্টল হয়েছে, তার পরপরই আমরা আমাদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়ে দিয়েছি। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যেই ওই পাসওয়ার্ড আমরা পেয়ে যাব।’’ কিন্তু করোনা আবহে যখন ডোমকল থেকে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দৌড়াতে হচ্ছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত সেই সময় কেবলমাত্র একটি পাসওয়ার্ডের জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, গোটা বিষয়টি আইসিএমআরের উপরে নির্ভর করে। তাদের পক্ষ থেকে পাসওয়ার্ড না দেওয়া পর্যন্ত মেশিন চালু করা সম্ভব নয়।
মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলছেন, ‘‘আমাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মেল করে আইসিএমআরের কাছে পাঠানো হয়েছে ওই মেশিন ইন্সটলের তথ্য। পাসওয়ার্ড পেলেই কাজ শুরু হবে।’’ যদিও জেলার একাংশের চিকিৎসকদের দাবি, ট্রু ন্যাট মেশিন আদতে খুব বেশি কাজের নয়, সারাদিনে ১০ থেকে ১২ টা রিপোর্ট করা সম্ভব এই মেশিন দিয়ে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)