ছবি: পিটিআই।
এক দিকে যেমন জেলায় হাজারে-হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক ঢুকছে, তেমনই তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
বুধবার প্রথম এক লাফে ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে বৃহস্পতিবার ১৪ জন পজিটিভ হন। শুক্রবার আবার ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা রোগের প্রাবল্যের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে শুক্রবার অনেকটা ধাতস্ত হয়েছেন। কারণ তাঁরা বুঝে গিয়েছেন যে, আপাতত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাডু ও দিল্লি থেকে যত পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ঢুকবেন ততই পরিস্থিতি জটিল হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে যত জনের রিপোর্ট এসেছে তাঁদের প্রায় সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। এঁদের মধ্যে আবার সিংহভাগ মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা।
শুক্রবার যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাঁদের কেউ ফিরে এসে হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন, কেউ ইনস্টিটিউশান্যাল কোয়রান্টিনে। যেমন, দিন পাঁচেক আগে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে কোতোয়ালি থানার কালীরহাট সেনপুরের বাসিন্দা আক্রান্ত ব্যক্তি হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন। আবার ধুবুলিয়া থানার বনগ্রামের বাসিন্দা গুজরাত থেকে ফেরা আক্রান্ত যুবক ছিলেন বাহাদুরপুর ইনস্টিউশানাল কোয়রান্টিনে।
করোনা চিত্র
n মোট আইসোলেশন ওয়ার্ড ৯টি।
n বেড সংখ্যা ৩৩৮টি।
n জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে ১৮৭৫ জনকে।
n এখনও পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৭২৫ জনকে।
n শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত নতুন করে ভর্তি করা হয়েছে ২৮ জনকে।
n ভর্তি আছে ১৫০জন।
n মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬২৩৪ জনের।
n শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত নতুন করে কারও নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
n এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে ২১৮৮ জনের।
n এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে ৬৫ জনের।
তথ্য: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
আবার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল শান্তিপুরেও। শান্তিপুর শহর এবং গ্রাম মিলিয়ে তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁদের রিপোর্ট এসেছে। এঁরাও পরিযায়ী শ্রমিক। শান্তিপুরে এখনও সতর্কতা অনেকটাই কম। শহরে এবং গ্রামে নানা জায়গায় মানুষের ভিড় নজরে পড়ছে এখনও। শান্তিপুরের কাপড়ের হাট বন্ধ থাকলেও অন্য বাজারে মানুষের জমায়েত হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা এসেছে।