১৫ দিন ধরে চিকিৎসার পর মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের নির্মাণ ঠিকাদার বাবলু শেখের।
ঝাড়খণ্ডে কাজ করতে গিয়ে টাকাপয়সা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে মত্ত শ্রমিকদের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন এক ঠিকাদার। বেধড়ক মারধরের পর তাঁকে বাইকে বেঁধে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ১৫ দিন ধরে চিকিৎসার পর মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের নির্মাণ ঠিকাদার বাবলু শেখের। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দস্তামাড়া গ্রামে। বাবলুর বাবা শাহ আলম শেখ জানান, ভিন্ রাজ্যের থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলার নিউ ধুর্মটি পুলিশ লাইনের আবাসন নির্মাণের শ্রমিক ঠিকাদারের কাজ করতে গিয়েছিলেন বাবলু। সেখানে গত ১৩ জানুয়ারি স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, ওই ঘটনার পর অন্তত ৫০ জন শ্রমিক ওই রাতে মত্ত অবস্থায় বাবলুর উপরে চড়াও হন। মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে তাঁকে মারধর করা হয়। এর পর বাবলুকে বাইকের পিছনে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাবলুকে উদ্ধার করে ঝাড়খণ্ডের হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়।
বাবলু যেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে কাজ করতেন বাবা শাহ আলমও। ঘটনার দু’দিন আগেই তিনি ফিরে এসেছিলেন। শাহ আলম জানান, বাবলুকে ঝাড়খণ্ড থেকে এনে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার সেখানেই বাবলুর মৃত্যু হয়েছে। বাবার অভিযোগ, ঠিকাদারির কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাবলুর উপর সৃষ্টি করা হচ্ছিল। স্থানীয় লোকেদের উস্কানিতেই নির্মাণ শ্রমিকদের একাংশ বাবলুকে মারধর করেছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাহ আলম।