—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বহরমপুর ব্লকের গুরুদাসপুরের ‘মহারাজপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি’র পরিচালন সমিতির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে স্ক্রুটিনি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা সব কিছুই হয়ে গিয়েছিল। সেই মতো আজ রবিবার নির্বাচনের দিনও ঠিক করেছিল সমবায় দফতর। কিন্তু এই নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ না পাওয়ার কথা বলে হঠাৎ করে নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সমবায় দফতর। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
শনিবার দৌলতাবাদ থানা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি এরশাদ আলি বলেন, ‘‘দৌলতাবাদ থানার মহারাজপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল রবিবার। তার জন্য সমস্ত রকম প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে পুলিশ পাচ্ছে না এই অজুহাতে সমবায় সমিতির নির্বাচন স্থগিত করে দিয়েছে। আসলে শাসক দল তৃণমূল এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে গিয়েছে। তাই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে দিয়েছে।’’
যা শুনে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আইজুদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘সমবায় সমিতির নির্বাচনে পুলিশি নিরাপত্তার দাবিতে কংগ্রেসের পক্ষে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানানো হয়েছিল। আর এই সময় পুলিশ-প্রশাসন নানা কাজে ব্যস্ত রয়েছে। ফলে তারা পুলিশ দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে। তাই এই সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচন স্থগিত করেছে।’’
তাঁর দাবি, ‘‘সম্প্রতি বহরমপুরের হাতিনগরেও একটি সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়েছে। সেখানেও আমরা জয়ী হয়েছি। মহারাজপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনেও আমরা জয়ী হব। কেন মহারাজপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন স্থগিত হল, তা জানতে আমরাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম। যখনই নির্বাচন হবে তখনই আমরা জয়ী হব।’’ যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হাতিনগরের ওই সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁদের উপরে হামলা চালানো এবং ভোট লুটের অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
মহারাজপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ১০৫৬ জন ভোটার রয়েছেন। বাম-কংগ্রেস এক সঙ্গে ও তৃণমূল একক ভাবে ৪৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে।