নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে লাগাতার শাসকদলে ভাঙন ধরানোর দাবি করে আসছে কংগ্রেস। মঙ্গলবারও ওই জেলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে তৃণমূল ও বিজেপি থেকে বহু কর্মী-সমর্থক তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করল হাত শিবির। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর থেকে কংগ্রেসের পালে হাওয়া লেগেছে বলে ধরে নিয়ে দুই জেলায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি যোগদান সভা করেছেন অধীর। কংগ্রেসের দাবি, এ বার তৃণমূল ও বিজেপি থেকে অন্তত ১৫০০ জন কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন। এই দাবিকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ শাসকদল। তাদের বক্তব্য, কংগ্রেসকে হাস্যাস্পদ করে তুলছেন অধীর!
মঙ্গলবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ছাতা মাথায় যোগদান সভা করেন অধীর। কংগ্রেস সূত্রে দাবি, তৃণমূল থেকে ১২০০ এবং বিজেপি থেকে অন্তত ৩০০ কর্মী-সমর্থক যোগদান করেছেন। সভামঞ্চ থেকে অধীর বলেন, ‘‘এই মুর্শিদাবাদে লন্ঠন নিয়ে খুঁজে বেড়াতে হবে তৃণমূলকে। তৃণমূল এই জেলায় ছিল না। এই মুর্শিদাবাদে তৃণমূল একটা আগন্তুক দল। উড়ে এসে জুড়ে বসা দল। কংগ্রেসের বহু নেতা-কর্মীকে বিভ্রান্ত করে প্রলোভোন দেখিয়ে, পুলিশ দেখিয়ে, প্রশাসন দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি। এখন মানুষ নিজেই বুঝছে। এটা কংগ্রেসের বড় পাওনা। আপাতদৃষ্টিতে এটি যোগদান সভা হলেও আমি মনে করি, এই সভা কংগ্রেসের লোকেদের কংগ্রেসে ফিরে আসার সভা।’’ আনন্দবাজার অনলাইনকেও অধীর বলেন, ‘‘এত যোগদান সভার অনুরোধ আসছে যে, আমরা প্রত্যেক দিন ডেট দিতে পারছি না। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না।’’
কংগ্রেসের যোগদান সভা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে অধীরবাবু হাস্যকর জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। কারা যোগদান করছে, আপনারা একটু খোঁজ নিন।’’