আঘাত না পেয়েও হাড়ে অসহ্য যন্ত্রণা, কী থেকে হচ্ছে? প্রতীকী ছবি।
হাড়ের যন্ত্রণাকে বাতের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস ভেবে ভুল করেন অনেকে। দীর্ঘ দিন ধরে হাড়ে যন্ত্রণা হতে থাকলে তা এড়িয়ে যাবেন না একেবারেই। হাড়ে ব্যথা মানেই তা অস্টিয়োপোরেসিস বা অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস হবে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং তা ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে। সবচেয়ে বিরল ধরনের যে সব ক্যানসার আছে, হাড়ের ক্যানসার তার মধ্যে অন্যতম।
অস্থি চিকিৎসক সুব্ত গড়াইয়ের মতে, হাড় সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে কোনও ভাবে আঘাত লেগেছে ভেবে অবহেলা করেন অনেকেই। আর এই কারণেই হাড়ের ক্যানসার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে খুব দ্রুত। হাড় সংক্রান্ত অসুখগুলির মধ্যে অস্টিয়োসারকোমাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে।
ক্যানসার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে ততই তার চিকিৎসায় সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই ক্যানসারের উপসর্গ চিনে রাখা খুব জরুরি।
হাড়ের ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, মাঝে মাঝেই পা ফুলে যেতে পারে। চোট-আঘাত না পেলেও হাড়ে ব্যথা হতে পারে। দু’টি হাড়ের সংযোগস্থল ফুলে লাল হয়ে যেতে পারে।
শরীরে প্রায়ই কি লাল র্যাশ বেরোয় এবং চুলকানি হয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলি পোকার কামড় বা অ্যালার্জি বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু প্রায়ই হতে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে।
অস্টিয়োসারকোমায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাঁটুর উপরের লম্বা হাড়গুলো। এ ছাড়া পায়ের উপরের অংশে, নীচের অংশ, হাতের উপরের অংশের হাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হাড়ের ক্যানসার হওয়ার ফলে হাড়ের ভিতরে ক্ষয় হতে থাকে এবং হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এর ফলে সাধারণ কাজ, যেমন, ওঠা বা বসার সময়, হাঁটু গেড়ে বসার সময় বা নিতান্ত সাধারণ কারণেও অনেক সময় হাড় ভাঙা বা হাড় ফ্র্যাকচারের মতো ঘটনা ঘটতে পারে, সে ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।