বিজেপি সিপিএম কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ। নদিয়ার পলাশিপাড়ার সাহেব নগরে। ১৯ জুলাই ২০২৩। ছবি: সাগর হালদার।
পঞ্চায়েত দখলে হাত মেলালেন সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের বিজয়ীরা। বুধবার নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার তেহট্ট ২ নম্বর ব্লকের সাহেবনগর পঞ্চায়েতে তাঁরা তৃণমূলমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার জন্য হাতে হাত রেখে শপথ নেন।
ঠিক সেই সময় এই ঘটনা ঘটল যখন বেঙ্গালুরুতে বিজেপির বিরুদ্ধে ২৬টি বিরোধী দল মিলে ‘ইন্ডিয়া’ নামে জোট তৈরি করছে। সেই দলে পাশাপাশি রয়েছে সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল। ঠিক তার বিপরীত ছবি দেখা গিয়েছে তেহট্টের গ্রামে।
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাহেবনগর পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। ২৭টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১২, তৃণমূল ৭, সিপিএম ৫, কংগ্রেস ২ এবং ১টি আসনে জয়ী হয় নির্দল। সাহেবনগর পঞ্চায়েতে এর আগেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তৃণমূল। বাকি রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, সে সময় চাপ সৃষ্টি করে সিপিএম ও বিজেপি প্রার্থীদের দলে নিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে তৃণমূল। এ বার যাতে তারা কোনও চাপ তৈরি করতে না পারে সেই কারণে আগাম একজোট হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
এ ব্যাপারে ওই পঞ্চায়েতের ২২ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী বিজেপির সৌমিত্র ঘোষাল বলেন, “এর আগে ভয় দেখিয়ে জয়ী প্রার্থীদের নিজেদের দিকে টেনে পঞ্চায়েত গঠন করেছিল তৃণমূল। এ বার প্রথম থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে শপথ নিয়েছেন বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীরা।”
নদিয়া উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের কথায়, “দল এ ব্যাপারে কিছু জানে না। তবে ওই এলাকায় মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তথা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে সমন্বয়ে অংশ নিয়েছেন বলে মনে হয়।”
নদিয়া জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হামিজুল হক বলেন,“বাইরে যাই হোক, এখানে আমরা তৃণমূলকে আর প্রশয় দেব না বলেই একজোট হয়েছি।” সিপিএমের নদিয়া জেলার সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সুমিত দে ফোন ধরে ‘‘আমার এ সব জানা নেই’’ বলে ফোন কেটে দেন।
আর নদিয়া জেলা তৃণমূলের উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁয়ের উক্তি, “নিজেরা এমন করলে রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে দলগুলির বিরুদ্ধে।”