নিজস্ব চিত্র।
পাট্টা থাকার পরেও জমি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠল নারায়ণপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তেহট্টের এসডিপিও দফতরের সামনে বিক্ষোভ ও ঘেরাও করেন বেশ কয়েক জন চাষি।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, থানারপাড়া থানার ১৬১ নম্বর চরজগাইপুর মৌজায় জলঙ্গি নদীর তীরে প্রায় ১৫০ বিঘা জমি রয়েছে। প্রায় ত্রিশ বছর আগে চাষের জন্য সরকার ৩১৩টি পরিবারকে পাট্টা দেয়। অভিযোগ, গত বছরের নভেম্বর মাসে নারায়ণপুর ২ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম বেশ কিছু দুষ্কৃতীদের নিয়ে সেই জমি দখল করতে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষিদের ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। ট্রাক্টর দিয়ে মাঠের ফসল নষ্ট করে দেয়। প্রাণভয় সব চাষি পালিয়ে যান।
তোয়াজ আলি গাইন নামে এক চাষি বলেন, “সরকার পাট্টা দেওয়ার পর থেকে বহু বছর ধরে চাষ করছি। কিন্তু মতিরুল আমাদের জমি থেকে আমাদেরই উচ্ছেদ করেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করলেও কেউ কিছু করছে না।” আর এক চাষি ফেরদৌস শেখ বলেন, “জমি দখল যে সময় করেছিল সে সময় বিভিন্ন ফসল তারা নষ্ট করে। সেই ফসলের দাম আমরা পাইনি। কষ্ট করে দিন চলছে একাধিক চাষির। কিন্তু প্রশাসনকে এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না।”
অভিযোগ অস্বীকার মতিরুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরা যে জায়গায় চাষ করত, তার পাশের জায়গার কিছুটা অংশ চর পরে যাওয়ায় তা আমরা কিছু দরিদ্র মানুষকে চাষ করতে দিয়েছি।” এ বিষয়ে নারায়ণপুর ২ পঞ্চায়েত প্রধান রিনা খাতুন বিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এ ব্যাপারে এসডিপিও (তেহট্ট) নাগরাজ দেবারকোন্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।