Suicide Abetment

সম্পর্ক ভেঙে দেওয়া মানে আত্মহত্যায় প্ররোচনা নয়, প্রাক্তন লিভ-ইন সঙ্গীকে মুক্তি দিয়ে বলল আদালত

গুয়াহাটির বাসিন্দা রাজ কপিল খৌন্দ। ৩০ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে তিনি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় এবং তার কিছু দিনের মধ্যে তরুণী আত্মঘাতী হন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০০
Share:

তরুণীর আত্মহত্যার জন্য তাঁর প্রাক্তন লিভ-ইন সঙ্গীকে দায়ী করেছিল পরিবার, গুয়াহাটি আদালত তাঁকে মুক্তি দিয়েছে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসা মানেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া নয়। দৈনন্দিন জীবনে এই ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। সম্পর্ক ভাঙে, মন ভাঙে। সে সব ভুলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে হয়। এগুলি জীবনের সাধারণ অভিজ্ঞতা। একে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ বলা যায় না। একটি মামলায় এমনটাই মন্তব্য করেছে অসমের গুয়াহাটি হাই কোর্ট। অভিযুক্ত প্রাক্তন লিভ-ইন সঙ্গীকে জামিনে মুক্তিও দিয়েছে আদালত।

Advertisement

গুয়াহাটির বাসিন্দা রাজ কপিল খৌন্দ। ৩০ বছরের এক তরুণীর সঙ্গে তিনি লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। বর্ষবরণের রাতে আত্মঘাতী হন ওই তরুণী। তার পর তরুণীর মা তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তরুণীর পরিবার পুলিশকে জানায়, দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর তা ভেঙে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক। এর ফলে মানসিক হেনস্থার শিকার হন ওই তরুণী। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তার পরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে তাঁর আইনজীবী জানান, শুধুমাত্র সম্পর্ক ভাঙা আত্মহত্যায় প্ররোচনার সমান হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ও উল্লেখ করেন যুবকের আইনজীবী। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জানায়, জীবনে ওঠাপড়া থাকে, ভাঙাগড়া থাকে। সম্পর্ক ভাঙা সাধারণ বিষয়। তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা হতে পারে না। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করে আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement