কঙ্গনা-সোনুর মুখ দেখাদেখি বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত।
এক সময়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। এখন প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ কঙ্গনা রানাউত ও সোনু সুদের। ‘মণিকর্ণিকা’ ছবির সময় থেকে সম্পর্কের অবনতি হয় দু’জনের। প্রথমে ছবিটি পরিচালনা করছিলেন কৃষ জগরলামুড়ি। পরে পরিচালনার ভার নিজের হাতেই তুলে নিয়েছিলেন কঙ্গনা। এই ছবি থেকে মাঝ পথেই বিদায় নিয়েছিলেন সোনু। প্রায় পাঁচ বছর ধরে কথা বন্ধ দুই বন্ধুর। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে পুরনো বন্ধুকে নিয়ে কথা বললেন সোনু।
বন্ধুত্বে ইতি টানলেও কঙ্গনার ব্যাপারে কোনও বিরূপ মন্তব্য করতে চান না সোনু। কঙ্গনার পরিবারের সঙ্গে এখনও তাঁর সুসম্পর্ক বলেও জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, “কঙ্গনা আমার বন্ধু নয় বলেই ‘মণিকর্ণিকা’ থেকে আমি বেরিয়ে এসেছিলাম। ওঁর সঙ্গে আামার আর বাক্যালাপ নেই। কিন্তু ওঁর মা, বাবা, বোন এবং গোটা পরিবারের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠতা রয়েছে আমার। একটা নিয়ম আমি মেনে চলি। কারও সঙ্গে কোনও সময়ে সুসম্পর্ক থাকলে, যা-ই হয়ে যাক, তাঁর বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করব না।”
কিছু বিষয় ঘিরে খারাপ লাগা তৈরি হলেও এক সময়ের বন্ধুর নামে খারাপ মন্তব্য করতে চান না সোনু। অভিনেতার কথায়, “লোকে যা ইচ্ছে বলতেই পারে। কিন্তু আমি কখনওই ওর বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বলব না। হয়তো খারাপ লাগা থাকতে পারে, ‘এক সময়ে বন্ধু ছিল ও। আর এখন এই খারাপ কথাগুলো বলছে।’ আমার মনে হয় এটা ওর (কঙ্গনা) বোকামি। ও কিন্তু মোটেই খারাপ মানুষ নয়। তবে কিছু কথা বলে দেওয়ার আগে ভাবা উচিত। আমিও হয়তো বোকার মতো কখনও করেছি এমন কিছু। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ নেই। তাই কঙ্গনা কী বলবে, সেটা ওর ভাবনার ধরন। উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়াই সমীচীন মনে করি।”
‘মণিকর্ণিকা’র পরে আর কখনওই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেননি কঙ্গনা ও সোনু। নতুন কোনও ছবির প্রস্তাবও আর দেননি ‘কুইন’। অভিনেতার কথায়, “আমরা ‘মণিকর্ণিকা’র পরে আর কথা বলিনি। অজয় নামে আমাদের এক বন্ধু রয়েছে। আমাদের মধ্যে মিটমাট করানোর চেষ্টা করেছে ও একাধিকবার। কিন্তু আমি আর কথা বাড়াতে চাইনি। ওকে ওর মতো খুশি থাকতে দেওয়াই ভাল।”
আগামী ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে সোনুর ছবি ‘ফতেহ’। অন্য দিকে কঙ্গনার বহু প্রতীক্ষীত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে।