Kalyani

পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ নদিয়ায়, ভাঙচুর করা হল গাড়ি, চলল লাঠি, ছড়াল উত্তেজনা

গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই উত্তেজিত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ থানায় চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:৩৬
Share:

পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে উত্তেজিত জনতা। নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হল নদিয়ার কল্যাণী থানার বিদ্যাসাগর কলোনিতে। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। উত্তেজিত জনতার উপর চলল পুলিশের লাঠিচার্জ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, কল্যাণী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর কলোনিতে রবিবার একটি সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় সেখানে খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছিল। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, খিচুড়ি বিতরণের সময় সেখান দিয়েই কল্যাণী থানার পুলিশের একটি গাড়ি খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। স্থানীয়েরা তখন পুলিশের গাড়িটির রাস্তা আটকায়। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় স্থানীয়দের। উত্তেজিত জনতা তার পরই পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে। ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বিরাট পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এখনও উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।

গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই উত্তেজিত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ থানায় চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। আটক ৩ জনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement

গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় তিন জনকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই উত্তেজিত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ থানায় চড়াও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। আটক তিন জনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

তৃণমূল অভিযোগ করছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, ‘‘একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুলিশের এ রকম অসহনশীল আচরণ করা উচিত হয়নি। পুলিশ নিজের ভুল বুঝতে পেরেছ ক্ষমা চেয়েছে।’’ এ নিয়ে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। তবে তার পিছনে অন্য কোনও রাজনৈতিক উস্কানি আছে কি না, সেটাও দেখতে হবে।’’

রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে কান্নান জানান, সাময়িক ভাবে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement