Death

‘মৃত্যুর জন্য দায়ী বৌদি’! কাগজে লিখে ‘নিজেকে শেষ করলেন’ মুর্শিদাবাদের যুবক, ধৃত বধূ

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক বড়ঞা থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, তাঁর সঙ্গে এক প্রতিবেশী বধূর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রতিবেশী বধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে। এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। অভিযোগ, স্বামীর অনুপস্থিতিতে যুবককে ব্যবহার করেছেন বধূ। পরে স্বামী ফিরে আসায় তাঁকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। অপমান সহ্য করতে না পেরেই এই আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়েছে সুইসাইড নোটে। যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বধূকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্তের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘প্রতিবেশী হিসাবে সম্পর্ক ছিল। ব্যক্তিগত কথা প্রকাশ্যে বলতে চাই না। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিইনি।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক বড়ঞা থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, তাঁর সঙ্গে এক প্রতিবেশী বধূর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যে সময় এই সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন বধূর স্বামী বাইরে থাকতেন পেশাগত কারণে। সম্প্রতি তিনি ফিরে আসার পরেই ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন বধূ। অভিযোগ, এর পরেই সোমবার কীটনাশক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন যুবক। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই মৃত্যু হয় যুবকের। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তিন পাতার সুইসাইড নোট।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে লেখা ছিল— ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য বৌদি দায়ী। দাদা বাড়িতে না থাকায় প্রতি রাতে আমাকে বাড়িতে ডেকে নিত। শারীরিক চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করতো আমাকে। আমি ভালবেসেছিলাম । দাদা বাড়ি ফিরে আশায় আমাকে ভুলে যেতে বলে। সেই অপমান আমি সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলাম। আমাকে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ার সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আমার ফোনে রইল। বৌদির যেন শাস্তি হয়।’’

Advertisement

মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement