cctv

ক্যামেরায় তালুবন্দি বেলডাঙা

শহরের নিরাপত্তা, যানজট লঘু করতে বেলডাঙার আনাচ কানাচে ১৩৫টি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তার সুফল হিসেবে এই উদাহরণ দু’টিই যথেষ্ট।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৫৮
Share:

নজরদারি: সিসিটিভিতে ধরা পড়ছে শহরের ছবি। নিজস্ব চিত্র

পুরসভা চত্বরে মোটরবাইক রেখে কাজে ভিতরে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন, নাহ, কোত্থাও নেই তাঁর সাধের মোটরবাইক। খোঁজাখুঁজির ফাঁকে তাঁর মাথায় আসে— আচ্ছা এক বার সিসি টিভির ফুটেজ দেখলে হয় না!

Advertisement

পুরসভার সিসি ক্যামেরার মনিটারিং রুমে গিয়ে টিভিতে চোখ রাখতেই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় ব্যাপারটা। তাঁর বাইকটি নিয়ে দিব্যি পুর-চত্বর ছাড়ছেন অন্য এক জন। ঘটনাচক্রে তাঁকে চেনা লাগে, একে তাঁকে ধরে তাঁর পরিচয় এবং ঠিকানাও জানা যায়। দেরি না করে সেই উধাও বাইক চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই তিনি কবুল করেন— ‘‘আরে বলবেন না, আমার চাবি, আপনার গাড়িতে দিতেই চালু হয়ে যায়। তাড়ায় ছিলাম, খেয়াল না করে গাড়ি নিয়ে এসেছি। দাঁড়ান দু’মিনিটে ফিরিয়ে দিচ্ছি। বাইক পেরত পেয়ে অভিভূত সেই ভদ্রলোক বলছেন, ‘‘ভাগ্যিস সিসি টিভি ছিল!’’

বেলডাঙা ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া এলাকায় এক ধর্মীয় উপাসনা গৃহে প্রার্থণায় বসেছিলেন ওঁরা। বাইরে রাখা সাইকেলটি নিয়ে নিঃশব্দে উধাও হয়ে যায়। সিসি টিভির ফুটেজ এ বারও উদ্ধার কর্তা হিসেবে এগিয়ে আসে। খোঁদ মেলে সাইকেলের। উদ্ধারও হয়।

Advertisement

এক নজরে

বেলডাঙা পুরসভার উদ্যোগ

খরচ ১.৫ কোটি

১৩৫টি ক্যামেরা

থানা, পুরসভায় মনিটরিং রুম

ইতিমধ্যেই সুফল মিলেছে।

শহরের নিরাপত্তা, যানজট লঘু করতে বেলডাঙার আনাচ কানাচে ১৩৫টি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তার সুফল হিসেবে এই উদাহরণ দু’টিই যথেষ্ট। রাস্তার মোড়, স্কুল- কলেজের গেটে, প্রশাসনিক ভবনের চাতালে, মন্দির-মসজিদের গেটে— বেলডাঙা পুরসভা প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে এমনই সুফল পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে সুফল মিলছে যানজট খুলতেও। একই সঙ্গে পুরসভা এবং থানায় চলেছে তার মনিটরিং।

শহরের প্রধান রাস্তায় যানজটে নজরদারি চলছে। বেলডাঙা পুরসভার পুরপ্রধান ভরত ঝাওর বলেন, “পুর-এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানোর ফল হাতেনাতে মিলতে শুরু করেছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন না হলেও পরীক্ষামূলক ভাবে ক্যামেরা চালি করেই এমনই টুকরো টুকরে উপকার মিলতে শুরু করেছে।”

বেলডাঙা থানায় কন্ট্রোল রুমে চলেছে সর্ভবক্ষণের নজরদারি। চারটি বড় স্ক্রিনে শহরের সব ক’টি মোড় যেন মুঠোয় ধরে রেখেছেন পুলিশ কর্মীরা। সেখানে সেই ক্যামেরায় ২৪ ঘন্টা নজর রাখা হচ্ছে। শহরের কোথায় যানজট হচ্ছে। সেটা দেখে সেখানে যানজট নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে।

আর তা করতে গিয়েই, গার্লস স্কুল ও কলেজের সামনে মোটরবাইক নিয়ে রোমিওদের ভিড় দেখলেই ছুটে যাচ্ছে পুলিশ!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement