BSF Seek BGB's Help

পাচার রুখতে বিজিবি-র সাহায্য চায় বিএসএফ

মুর্শিদাবাদ জেলায় ২২ জুন রাতে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তরা গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ০৮:০৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গত এক সপ্তাহে গরু পাচারকারীদের হাতে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছে বিএসএফ। তবে এ নিয়ে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি)-এর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করলেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি একে আর্য।

Advertisement

রবিবার এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে তাঁর অভিযোগ, “বাংলাদেশি অপরাধীদের ঘন ঘন হামলা এবং অনুপ্রবেশের বিষয়ে বিজিবি-র সঙ্গে বারবার পতাকা বৈঠক করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই নিষ্ক্রিয়তা চোরা কারবারি ও অপরাধীদের উৎসাহিত করেছে।”

বিএসএফের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদ ও লাগোয়া নদিয়া, মালদহ জেলার সীমান্তে গরু পাচারকারীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন বিএসএফ জওয়ানরা। আহত হয়েছেন কয়েক জন জওয়ান। উদ্ধার হয়েছে গরু ও নানা ধরনের ধারালো অস্ত্র। এই ঘটনার পরে বিজিবি-র সঙ্গে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে চোরা-কারবারিদের হামলার প্রতিবাদ জানায় বিএসএফ।

Advertisement

বিবৃতিতে দাবি, ‘হামলা ও আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় প্রাথমিক অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটেনি।’ বিএসএফ জানায়, গঙ্গা ও পদ্মায় জল বাড়তেই বাংলাদেশি গরু পাচারকারীরা আবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সেক্টর হেড কোয়ার্টার বহরমপুর এলাকায় বিএসএফ সীমান্ত চৌকি মধুবনার জওয়ানদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।

মুর্শিদাবাদ জেলায় ২২ জুন রাতে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তরা গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা করে। মধুবনার সীমান্ত ফাঁড়িতে টহলরত বিএসএফের ৭৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তার উপযুক্ত জবাব দেন। আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন তঁারা। পাচারকারীরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দু’টি ষাঁড় এবং একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।

বিএসএফের দাবি, সেক্টর হেডকোয়ার্টার বহরমপুরের ১৪৬ নম্বর ব্যাটালিয়ন, সীমান্ত চৌকি মধুবনার জওয়ানরা তাঁদের দ্বিতীয় শিফটে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সেই সময় দু’টি গরু নিয়ে ৫-৬ জন পাচারকারীর সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে বিএসএফ। টহল দেওয়া জওয়ানরা তাদের থামতে বলেন। একই সময়ে, বাংলাদেশ থেকে ৬ থেকে ৭ জন চোরাকারবারী ভারতে প্রবেশ করে এবং জওয়ানদের হুমকি দিয়ে অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।

তখন চোরাচালান থামাতে বিএসএফ জওয়ানরা গ্রেনেড ছোড়েন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা এক জওয়ানকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। ওই জওয়ান নিজেকে বাঁচাতে দুষ্কৃতীদের দিকে দু’ রাউন্ড গুলি চালান। দুর্বৃত্তরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিতে দুর্বৃত্তদের কারও আহত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বিএসএফ।

যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটিতে কাঁটাতার নেই। যার জেরে বিএসএফ জওয়ানদের অনেক রকম অসুবিধায় পড়তে হয়। এই পুরো এলাকায় ঘন উঁচু ফসলের সুবিধা পাচ্ছে পাচারকারীরা।

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত চৌকি বামনাবাদে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে, কৃষ্ণনগরের বর্ডার ফাঁড়ি হোরান্দিপুর এবং মাটিয়ারিতেও চারটি জায়গায় বিএসএফের উপর হামলা হয়েছে। তাতে বিএসএফ জওয়ানরা গুরুতর আহত হচ্ছেন বলে জানিয়ে এই সব ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেন বিএসএফের ওই কর্তা। এ নিয়ে বিজিবির সহায়তা প্রার্থনা করেছেন বিএসএফের ডিআইজি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement