মৃতার নাম কোয়েল হালদার (২০)। নিজস্ব চিত্র।
দুপুর থেকে হইহুল্লোড় করে বাজার করা। হরেক রকম বেলুন, লাইট দিয়ে ঘরও সাজিয়েছিলেন তরুণী। এর পর শপিং করে ফিরে বাড়ির পরিচারিকাকে কেক সাজাতে বলে নিজের ঘরে ঢুকে যান। তার পর আর সাড়া মেলেনি। পরে সেই ঘর থেকেই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল! নদিয়ার শান্তিপুর থানার বড়বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম কোয়েল হালদার (২০)। তিনি তিনি কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার কোয়েলের জন্মদিন ছিল। তার আয়োজনও হচ্ছিল সকাল থেকে। নিজের হাতে কেক, বেলুন, লাইট কিনে এনে বাড়িও সাজিয়েছেন তরুণী। এর পর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যান শপিং করতে। ফিরে আসেন রাত ১০টা নাগাদ। ফিরেই পরিচারিকাকে কেক সাজাতে বলে নিজের ঘরে ঢুকে যান তরুণী। অনেক ক্ষণ ধরে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের। ডাকাডাকির পরেও সাড়াশব্দ না মেলেনি। বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
তরুণীর মা মামনি হালদার বলেন, ‘‘কেক সাজাতে বলে ঘরে ঢুকেছিল। এ রকম করবে ভাবতে পারিনি। জামাকাপড় কেনা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল! তার পরিণতি এমন হতে পারে, বিশ্বাসই হচ্ছে না।’’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ সুপার কে কন্নন বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’