এ প্রসঙ্গে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ করের মন্তব্য, “কেনই বা নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল, আর কেনই বা নতুন করে দেওয়া হল তার উত্তর একমাত্র জগন্নাথবাবু দিতে পারবেন। তবে এ রাজ্যে কোনও নাগরিককে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় না।”
ফাইল চিত্র।
বোমা হামলা প্রমাণ করে দিয়েছিল তাঁর নিরাপত্তা কতটা জরুরি। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর ফের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেলেন রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগেই সাংসদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি কল্যাণীর একটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি দেখে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি সাংসদ। কল্যাণী এমসের কাছাকছি এলাকায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পরই ফের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বহাল করা হয়েছে। যদিও সেই ঘটনার পর বিজেপি সাংসদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে দু’জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে খুশি জগন্নাথ।
তিনি বলেন, “আমি জনপ্রতিনিধি। সবর্দা জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। জনতার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অশুভ শক্তির রোষের মুখে পড়তে হয়। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তারক্ষী অত্যন্ত জরুরি এবং সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা থাকলে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”
এ প্রসঙ্গে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ করের মন্তব্য, “কেনই বা নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল, আর কেনই বা নতুন করে দেওয়া হল তার উত্তর একমাত্র জগন্নাথবাবু দিতে পারবেন। তবে এ রাজ্যে কোনও নাগরিককে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় না।”