—ফাইল চিত্র।
দলে থেকেও কাজ করতে পারছেন না। ফের এই অভিযোগে দল ছাড়লেন বিজেপির পঞ্চায়েত উপপ্রধানের। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করছে পঞ্চায়েতের প্রশাসনকে, এমনটাই অভিযোগ দলত্যাগী নেতার। ক্ষোভ উগরে দল ছাড়লেন ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা স্থানীয় বিজেপির নেতা পারিজাত চট্টোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত সমিতি ও কয়েকটি পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। আগেই শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এ বার সেই পথেই হাঁটতে দেখা গেল ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পারিজাত চট্টোপাধ্যায়কেও। তিনি বিজেপি ছেড়ে হাতে তুলে নেন তৃণমূলের পতাকা। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মীও যোগ দেন।
দলবদলের পর পারিজাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাইরের লোকজন এসে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। আমাদের জয়ী সদস্যদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যক্তিগত কারও সুবিধার্থে এমন জায়গায় রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে, যা অ্যাকশন প্ল্যানেই নেই। তাই আমি তৃণমূলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে চাই আমিও।’’ অন্য দিকে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার দাবি করেন, ‘‘দীর্ঘ দিন থেকেই উনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। উনি দলত্যাগ না করলে ওঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত।’’