বিডিও অফিসে অভিযোগপত্র নিয়ে বিজেপি প্রার্থী মাধবী মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হন ৯৬ ভোটে। কিন্তু ভোটে জেতার শংসাপত্র হাতে পাননি তিনি। এই অভিযোগে বিডিও-র দ্বারস্থ হলেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের নয়নসুখ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২২ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী মাধবী মণ্ডল। ওই বিজেপির প্রার্থীর স্বামীর দাবি, ‘‘ভোট গণনার দিন জানানো হয়, আমার স্ত্রী ৯৬ ভোটে জিতেছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও বিজয়ী হিসাবে ওর নাম আছে। কিন্তু সার্টিফিকেট চাইতে গিয়ে জানলাম ওখানে নাকি তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।’’ মাধবী জানান, বিডিও অফিসে গিয়ে তিনি জানতে পারেন প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী শীলা মণ্ডল জয়ী হয়েছেন ভোটে। এটা কী ভাবে সম্ভব হল, প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিজেপি প্রার্থী। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ফরাক্কার বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘জায়গায় জায়গায় ছাপ্পা ভোটের পরেও তৃণমূল যেখানে জিততে পারেনি, সেখানে বিডিওদের দিয়ে ব্যালট লুট করে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছে।’’ বস্তুত, রাজ্যের বিভিন্ন বুথে ভোটের ফল দেখার পর একই অভিযোগ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আমতার একটি বিডিও অফিসে গিয়ে এ জন্য কালো গোলাপ এবং মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে আসেন তিনি। কটাক্ষের সুরে জানান, বিডিওদের ভূমিকায় তাঁরা খুশি।
অন্য দিকে, ফরাক্কার ওই বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের কটাক্ষ, ‘‘১১ জুলাইয়ের (ভোটের ফলাফলের দিন) ঘটনার কথা হঠাৎ এক সপ্তাহ পর মনে পড়ল। এখন অভিযোগের কথা মনে পড়ছে?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রযুক্তিগত কিছু ভুল হয়ে থাকলে সেটা প্রশাসন দেখবে। ব্যালট সংরক্ষিত আছে। চাইলে আবার গণনাও হতে পারে।’’ যদিও এ নিয়ে বিডিওর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।