ভাগীরথী এক্সপ্রেস। ফাইল চিত্র
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে। শেষমেশ চাকা গড়বে লালগোলা শিয়ালদহ ভাগীরথী এক্সপ্রেসের। এমনটাই জানিয়েছেন শিয়ালদহ শাখার ডিআরএম শীলেন্দ্র প্রতাপ সিংহ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘ডিসেম্বর মাসের এক তারিখ থেকেই চালু হবে ভাগীরথী এক্সপ্রেস।’’
রেল সূত্রে খবর, ডিসেম্বর মাসের এক তারিখ শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ছেড়ে লালগোলায় পৌঁছবে। তারপর দিন সকালে লালগোলা থেকে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছবে ট্রেনটি। ট্রেনটি আগের সময় মত চলবে বলেই খবর। তবে, করোনা আবহে সংক্রমণ এড়াতে এই মুহুর্তে ভাগীরথী এক্সপ্রেসে কোনও জেনারেল কামরা থাকবে না সমস্ত কামরায় সংরক্ষিত থাকবে। যাত্রীদের আগের থেকে সংরক্ষিত টিকিট কেটে টিকিট নিশ্চিত হলে তবেই ট্রেনে উঠতে পারবেন বলেই খবর রেল সূত্রে। তবে ভাগীরথী এক্সপ্রেসে জেনারেল কামরা না মেলায় বিপাকে সাধারণ যাত্রীরা। সাধারণ যাত্রীদের দাবি মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার কাজে প্রতি সপ্তাহে কলকাতায় যান এ ছাড়াও এমনও ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা প্রতিদিনই ভাগীরথী এক্সপ্রেসে কলকাতা যান ও ফিরে আসেন। এ ছাড়াও লালগোলা, ভগবানগোলা জিয়াগঞ্জের মত স্টেশনগুলো থেকে প্রতিদিন ভাগীরথী এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় চেপে প্রচুর মানুষ বহরমপুরে কেউ যোগ দিতে আবার কেউ চিকিৎসা করাতে আসেন। এখন সমস্ত কামরা রিজার্ভ হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হবে সেই সকল ব্যবসায়ী ও রোগীদের কারন আসন সংরক্ষিত করে যাওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা রয়েছে। এদিন লালগোলার এক ব্যবসায়ী সুরোজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাকে সপ্তাহে দুইবার কলকাতা যেতে হয় জিনিসের অর্ডার ও টাকা দিতে কিন্তু সপ্তাহে দু'দিন করে সংরক্ষিত টিকিট নিশ্চিত হবে না এছাড়াও পয়সাও বেশি লাগবে।’’
তা হলেও ট্রেনটি ফেরায় অনেকেই খুশি। খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা যাতায়াতের সুবিধা এ বার বাড়বে বলে রেলযাত্রীদের আশা। তাংরা ভাবছেন, সাধারণ কামরাও চালু হবে তাড়াতাড়ি।