অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জনসংযোগ যাত্রা’য় আবার গন্ডগোল মুর্শিদাবাদে। শনিতে রানিনগরের পর রবিবারও প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হল বহরমপুর স্টেডিয়ামে। গোটা প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্ব আর অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই একাংশ। ধস্তাধস্তি, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় তাঁবুও। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আবার মঞ্চে উঠে আসতে হয় অভিষেককে। প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় যাঁরা ভোট দিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন, সেই সব দলীয় কর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা ভোট দিতে পারেননি, তাঁরা একটা চিঠি লিখে খামে ভরে আমাকে জমা দেবেন।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, আমতলা ব্লক-২ সভাপতি আতাউর রহমানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ব্যালট থেকে প্রার্থীদের নাম মুছে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তা চরমে উঠলে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলকর্মীরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সভাস্থলের কয়েকশো চেয়ার। তাবু ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে। দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় পুলিশকে। আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয় ঘটনাস্থলে।
আতাউরের দাবি, ‘‘সুস্থ ভাবে ভোট হচ্ছিল। রবিউল আলমের লোক জন এসে ভাঙচুর করে সব ভন্ডুল করে দিল।’’ পাল্টা বিধায়ক রবিউল বলেন, ‘‘নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভোট দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে পারলে দল ছেড়ে দেব। ভুয়ো ভোটাররা কী ভাবে ভোট দিচ্ছেন, তার উত্তর চাই।’’
এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। দলের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ওরা নিজেদের ভোটই নিজেরা করতে দিচ্ছে না। তা হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে, বুঝে নিন।’’