তরুণীকে খুন করে তার মা কে ফোন। প্রতীকী চিত্র।
তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর মোবাইল থেকেই তাঁর মাকে ফোন করেছিল যুবক। সেই সূত্র ধরেই সোমবার সকালে শান্তিপুর থানার নবলা পঞ্চায়েতের লালমাঠ এলাকা থেকে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রাখি মণ্ডল (১৯)। তাঁকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগে নকুল মণ্ডল নামে এই যুবককে সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।
রানাঘাট থানার হবিবপুর হরিতলা কলোনি এলাকার বাসিন্দা রাখি। তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁচরাপাড়া একটি পানশালায় কাজ করতেন। প্রায় চার বছর আগে হবিবপুরের বাসিন্দা রবিন বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের কিছুদিন পরেই স্বামীর সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন রাখি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, এর পরেই হবিবপুরের পানপাড়ার বাসিন্দা নকুলের সঙ্গে রাখির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের কথা রাখির বাপের বাড়ির লোকজন জানতেন। নকুল হোটেলে কাজ করত। বছরখানেক আগে সে কর্মসূত্রে অন্য দেশে চলে যায়। কয়েক মাস আগে সে গ্রামে ফিরে রাখিকে খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
রাখি বর্তমানে কাঁচরাপাড়াতেই বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। মৃতার মা কাজলি মণ্ডল বলেন, “রবিবার সন্ধ্যার পর মেয়ে বাড়িতে এসেছিল। রাতেই ও ট্রেনে করে কাঁচরাপাড়া ফিরে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। আমি ওকে কিছুটা পথ এগিয়ে দিই। ভেবেছিলাম, মেয়ে কাঁচরাপাড়া চলে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, “গভীর রাতে মেয়ের মোবাইল থেকে ফোন আসে। নকুল ফোন করে জানায়, মেয়েকে ও খুন করেছে।"
রানাঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ভোরে নকুল মণ্ডলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। ও দিকে, শান্তিপুর থানার পুলিশ নবলা লালমাঠ এলাকায় একটি আম বাগান থেকে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। তাঁকে অন্যত্র শ্বাসরোধ করে মেরে রাতের অন্ধকারে ওই আম বাগানে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পূর্ব আক্রোশের জেরেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।