অভিযোগপত্র। নিজস্ব চিত্র।
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকারি প্রকল্প রূপায়িত করার অভিযোগ উঠল। ওই প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ প্রশাসনের কাছে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলেও খবর। রেজিনগর থানার কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই পঞ্চায়েতের শুকুরপুকুর গ্রামে একটি ফুটবল মাঠ তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগ, সেখানে শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরিবর্তে মাটি কাটার যন্ত্র ও ট্রাক্টর ব্যবহার করা হয়েছে। যা বেআইনি বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। এর সঙ্গেই সেই প্রকল্প রূপায়ণে পঞ্চায়েতের প্রধানের আর্থিক অনিয়ম করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঠিক কী অভিযোগ? কাশীপুর পঞ্চায়েতের শুকুরপুকুর গ্রামে ফুটবল খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত শ্রমিক ব্যবহার করেনি। তার বদলে মাটি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ওই প্রকল্পে টাকা তোলা হয়েছে শ্রমিকদের জবকার্ডের ভিত্তিতে, অভিযোগ এমনই। শ্রমিকদের দিয়ে কাজ না করিয়ে এই প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এছাড়া, পঞ্চায়েত প্রধান এই কাজের বরাত বেআইনি ভাবে তাঁর এক আত্মীয়ের সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠছে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে হাফিজুর রহমান, সবুরউদ্দিন, শেরফুল মোল্লা, রুহুল আমিনরা জানান, গ্রামবাসীদের সই করা অভিযোগপত্র দিনকয়েক আগে বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও-সহ জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কথায়, “একশো দিনের কাজে মাটি কাটা যন্ত্র বা ট্রাক্টর ব্যবহার করা নিয়ম-বিরুদ্ধ। সেটাই এখানে করা হয়েছে।” বেলডাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি যাদব ঘোষ বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্প সরকার এনেছে তো শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার জন্য। সেই প্রকল্পে মাটি কাটা যন্ত্র বা ট্রাক্টর ব্যবহার করা যায় না বলেই জানি। বাকিটা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনেরই।’’
হাফিজুর রহমান মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “পুরো কাজে কয়েক লক্ষ টাকার বরাদ্দ হয়েছে। দুর্নীতি করে তার মধ্যে মাস্টার রোলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করলেই সব জানা যাবে।”
যদিও অভিযোগ নিয়ে কাশীপুরের পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা বিবি বলেন, “এই কাজের দরকার ছিল। সেই কাজ হয়ে গিয়েছে। সব কাজ তদারক করেছেন নির্মাণ সহায়ক। অভিযোগ সত্যি কি না প্রশাসন খতিয়ে দেখুক।’’ বেলডাঙা-২ ব্লকে সদ্য নতুন বিডিও কাজে যোগ দিয়েছেন। ব্লকের যুগ্ম বিডিও ভরতচন্দ্র দাসের প্রতিক্রিয়া, “অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখা হবে।”