অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে আলু-পেঁয়াজের দাম কমানোর আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বহরমপুরে তা নিয়ে নবান্নকে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এ এক হাস্যকর দাবি। একজন মজুতদার কত পণ্য মজুত রাখবে, কেন্দ্র নতুন কৃষি আইন এনে তা নিজের অধিকারে রাখতে চাইছে। সব রাজ্য তা মানেনি। বিধানসভার অধিবেশন ডেকে এক দিনে আইন পাল্টে মজুতদারদের পণ্য মজুত করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া যায়। তা হলে আনাজের দাম কমবে। অথচ দিদি সেই আইন আনছেন না।’’
সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের ‘দূরত্ব’ তৈরি হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘একদিন এই শুভেন্দু অধিকারীকেই তাঁর দলের সম্পদ হিসাবে পাঠিয়েছিল মমতা। তাঁকে দিয়ে অকাজ কুকাজ করিয়েছেন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ দিনাজপুরে কংগ্রেস দলকে ধবংস করিয়েছেন এখানকার পুলিশ প্রশাসন ও শুভেন্দুবাবুকে দিয়ে। আজ সেই শুভেন্দুবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল নামক সাধের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। পরের ঘর জ্বালাতে গেলে নিজের ঘরও জ্বলতে পারে দিদিভাই (মমতা) তা স্মরণ রাখবেন।’’
পাশাপাশি বিহারের ভোেটর ফল নিয়ে এদিন দুপুরে অধীর বলেন, “সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, সমানে সমানে লড়াই হবে, তাই হয়েছে। মাত্র পাঁচশো ভোটের ব্যবধানে আটটি আসনে হেরেছে জোটশক্তি। বাস্তবে কিন্তু সেয়ানে-সেয়ানে টক্করই হল।” বিহারে যাদব-মুসলিম সম্পর্ককে টাকার বিনিময়ে ভাঙতে নরেন্দ্র মোদী সফল হয়েছেন বলেই সেখানে বিজেপি সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করেন অধীর।