Death

জলঙ্গিতে প্রাক্তন স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, পলাতক অভিযুক্ত

প্রাক্তন স্বামীর ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন আলতাফন। প্রথমে সাদিখাঁরদেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মু্র্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জলঙ্গি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:২৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

নিজের প্রাক্তন স্বামীর হাতেই খুন হলেন এক মহিলা। মু্র্শিদাবাদের জলঙ্গি বাজার এলাকায় ঘটনা। মৃত মহিলার নাম আলতাফন বিবি। বয়স ৫৫ বছর। ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না অভিযুক্তের। প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে ফিরতে না চাওয়াতেই এই হামলা বলে স্থানীয়দের দাবি। মৃত মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে করা খুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, আলতাফন বিবির বাবার বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের কুপিলায়। রমনায় তাঁর প্রথম বিয়ে হয়েছিল। সেখানে স্বামী-সহ তাঁর এক মেয়ে ও দুই ছেলে ছিল। স্বামী থাকা সত্ত্বেও সাহেবরামপুর পাওয়ার হাউসপাড়া এলাকায় আজিজুল মালিথ্যা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আলতাফন। দ্বিতীয় স্বামীর অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে তাঁর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। সেখানে চার বছর সংসার চলার পর তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও বনিবনা না হওয়ায় দু’মাস আগে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই দু’জনে আলাদাই থাকতেন। বুধবার দুপুরে হঠাৎ আলতাফানের স্বামী তাঁকে আনতে যান। আলতাফন তাঁর স্বামীর বাড়িতে ফিরতে চাননি। এর পরেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন আজিজুল। প্রাক্তন স্বামীর ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন আলতাফন। প্রথমে সাদিখাঁরদেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বহরমপুরে মু্র্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামীর বাড়িতে তালা ঝুলছে। পলাতক অভিযুক্ত স্বামী আজিজুল মালিথ্যা। ইতিমধ্যেই জলঙ্গি থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

মৃত মহিলা আত্মীয় রোজিনা বিবি বলেন, “প্রথম স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছিল আলতাফন। দ্বিতীয় স্বামীর অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় আলতাফন। যার জেরে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় আজিজুল।” মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব জানিয়েছেন, “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement