মৃত তৃণমূল কর্মী। প্রতীকী চিত্র।
গ্রামের কাঁচা মেঠো রাস্তা তৈরি নিয়ে বচসার সূত্রপাত। পর্যায়ক্রমে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। তা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনায় মৃত্যু হল এক তৃণমূলকর্মীর। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় ঘটনাটি ঘটেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে বাঁশ, লোহার রড, শাবল নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জখম হওয়া ৭ তৃণমূলকর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মনিরুল মুন্সী (৫২)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘পুলিশ পৌঁছেছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলে মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের রাজপুর গ্রামের একটি মেঠো রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। ব্লক সভাপতি শফিউজ্জামানের অনুগামীরা রাস্তা তৈরিতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করে নওদার বিধায়িকা শাহিনা মমতাজের অনুগামীরা। বিধায়িকা ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর বচসা কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতাহাতির রূপ নেয়। অভিযোগ, হাতাহাতি চলাকালীন ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বিধায়িকার অনুগামী মনিরুল মুন্সী নামে এক তৃণমূলকর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনিরুল। ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের ৭ জন। প্রত্যেককে উদ্ধার করে আমতলা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মনিরুলের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত তৃণমূল কর্মীর ছেলে সুমন মুন্সী বলেন, ‘‘গ্রামের একটা রাস্তায় মাটি তোলা নিয়ে গন্ডগোল বাধে। হাবিব মাস্টারের লোকজন আমার বাবাকে খুন করেছে।’’ নওদা ব্লক সভাপতি শফিউজ্জামান ওরফে হাবিব বলেন, ‘‘এটা গ্রাম্য ঝামেলা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সব কিছুতেই রাজনীতি না আনাই কাম্য।’’ নওদার বিধায়িক শাহিনা বলেন, ‘‘তৃণমূল দলকে ব্যবহার করে কারা দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করতে চাইছে, সেটা দলের নজরে আছে। আশা করছি, দল যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’