প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে টর্চের আলো ফেলতেই শিউরে ওঠেন গৃহকর্ত্রী। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তাঁর স্বামী। প্রতিবেশীরাও আসেন কী হয়েছে দেখতে। সেপটিক ট্যাঙ্কের যে অংশের টর্চের আলো পড়েছিল, সেখানে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন এক তরুণ! তড়িঘড়ি সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার কাটাদাড়া এলাকায়। মৃত তরুণের নাম মনিরুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, মনিরুল পাড়ারই ছেলে। যে বাড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার কয়েকটা বাড়ি পরেই থাকতেন। কী ভাবে ওই তরুণ সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে গেলেন? কী ভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ টর্চ নিয়ে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন মনিরুল। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। ঠিক তখনই পাড়ার এক বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মনিরুলকে। ওই বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছিল। সেখানে টর্চের আলো দেখতে পেয়ে এগিয়ে যান বাড়ি গৃহকর্ত্রী। সঙ্গে যান তাঁর স্বামীও। তাঁদের দাবি, সেপটিক ট্যাঙ্কের চেম্বারে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছেন মনিরুল।
খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে থেকে মনিরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই জায়গায় মনিরুলের মৃত্যু কী ভাবে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। খুন না কি নিছক দুর্ঘটনা, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য।
পুলিশ এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মনিরুলের ভাই আখতারুল মণ্ডলের দাবি, ‘‘সেপটিক ট্যাঙ্কে কেউ ও ভাবে পড়তে পারে না। রাস্তা থেকে সেপটিক ট্যাঙ্কটা অনেক দূরে ছিল। ওকে কেউ খুন করে সেখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে।’’ ডোমকলের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক শুভম বজাজ জানান, প্রাথমিক ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।