—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক মহিলা চিকিৎসককে ‘আর জি করের মতো পরিণতি হতে পারে’ বলে হুমকির অভিযোগের তদন্তে শনিবার নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গেল স্বাস্থ্য দফতরের সাত সদস্যের দল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) নিজেও গিয়েছেন। সার্ভিস ডক্টরস’ ফোরামের সদস্যেরা হাসপাতালে গিয়ে তাঁর কাছে ‘হুমকি-প্রথা’র লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শনিবার রাত পর্যন্ত শান্তিপুর থানা ওই অভিযোগ ‘এফআইআর’ হিসেবে গ্রহণ করেনি। তবে পুলিশের দাবি, তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিনও রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সোরেনকে ফোনে পাওয়া যায়নি, মোবাইল-বার্তার জবাবও মেলেনি।
গত সেপ্টেম্বরে বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে ‘সিনিয়র রেসিডেন্ট’ হিসেবে শান্তিপুরে বদলি হয়ে আসা প্যাথলজিতে এমডি ওই চিকিৎসক গত ২ জানুয়ারি পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে তিনি শারীরিক-মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমল দেননি। তা নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতাল সুপার তারক বর্মণ উল্টে তাঁকে ‘আর জি করের মতো পরিণতি’র হুমকি দেন।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুক্রবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির কথা জানিয়েছিলেন। এ দিন তার সঙ্গে দুই মহিলা চিকিৎসককেও যুক্ত করা হয়। সাত জন হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্ত সুপার ও অভিযোগকারিণীর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেছেন। পরে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়েও কথা বলা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলে জানা গিয়েছে। পরে অভিযোগকারিণী বলেন, “তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশ্বস্ত করেছেন। তবে এখনও নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে রয়েছি। শান্তিপুর ছাড়তে চাই।” সুপার বলেন, “তদন্ত চলছে, তাই মন্তব্য করব না। যা বলার, কর্তৃপক্ষই বলবেন।”
সিএমওএইচ জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, “কমিটির তদন্ত-রিপোর্ট পেলে জানা যাবে, ঠিক কী ঘটেছিল।” সার্ভিস ডক্টরস’ ফোরামের সদস্য স্বপন বিশ্বাস বলেন, “আর জি কর কাণ্ডের পাঁচ মাসের মধ্যে ফের এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকির অভিযোগ ওঠায় ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”
বৃহস্পতিবার ওই মহিলা চিকিৎসক লিখিত অভিযোগ জানালেও এ দিন পর্যন্ত পুলিশের কেউ হাসপাতালে যাননি। তবে শান্তিপুর থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গণ্য করা হয়নি কেন? এসডিপিও (রানাঘাট) সবিতা গটিয়াল বলেন, “খোঁজ নিচ্ছি।”