Murder

মাকে জখম করে শিশুকন্যা চুরির চেষ্টা, পালাতে না পেরে ঝোপে ফেলে দৌড়! মৃত্যু একরত্তির

স্থানীয় সূত্রে খবর, লিচুবাগান গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে ফুলমণি বিবির বাড়ি। স্বামী বাড়িতে নেই। সন্ধ্যায় ছোট্ট শিশুকন্যাকে ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে বাইরে রান্না করছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রথমে শিশু চুরি করে পালানোর চেষ্টা। মাকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে পালাতে সক্ষম হলেও শেষমেশ পড়শিদের তাড়া খেয়ে কর্দমাক্ত ঝোপের মধ্যে শিশুকে ফেলে দৌড় দেন অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর তিনেকের ওই শিশুর। বুধবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ফুলবাড়ি লিচুবাগান এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামবাসীরাই ওই শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে সাগরদিঘির পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, লিচুবাগান গ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে ফুলমণি বিবির বাড়ি। স্বামী বাড়িতে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যায় ছোট্ট শিশুকন্যাকে ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে বাইরে রান্না করছিলেন ফুলমণি। এমন সময় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে ফুলমণির মেয়ে সালমা খাতুনকে কোলে করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। ফুলমণি জানান, বাইরে থেকে সালমার চিৎকার শুনে ঘরে ছুটে গিয়ে তিনি দেখেন, এক ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাকেও ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় ওই লোকটা। আমার চিৎকারেই ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশীরা।’’

প্রতিবেশীরা জানান, গ্রামের লোকজন তাড়া করলে শিশুকন্যাকে ঝোপঝাড়ে ফেলে পালান ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। মনিরুল শেখ নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘ফুলমণির চিৎকার শুনে আমরা ছুটে এসেছিলাম। আমাদের চলে আসতে দেখে বাচ্চাটিকে ঝোপের মধ্যে ফেলে পালায় চোর। একে অন্ধকার, তার উপর বৃষ্টি হওয়ায় বাচ্চাকে খুঁজে পেতে অনেক সমস্যা হয়েছে। খুঁজে পাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চা মারা যায়।’’ সালমাকে সাগরদিঘি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

অজ্ঞাতপরিচয়ের হামলায় জখম হয়েছেন ফুলমণিও। তিনিও এখন সাগরদিঘির হাসপাতালেই ভর্তি। সন্তান হারিয়ে শোকে বিহ্বল ফুলমণি বলেন, ‘‘আমার বুকে ও পেটে লাথি মেরেছিল লোকটা। আমি ওর পা চেপে ধরেছিলাম যাতে পালাতে না পারে। সেই সময় আমার মাথায় ভারী কিছু একটা দিয়ে মারলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। তখনই পালায় লোকটা।’’

শিশু খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাগরদিঘির এসডিপিও বিদ্যুৎ দফাদার। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা এলাকায় প্রথম ঘটল। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement