—প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ ক্ষণ কারও নজরে পড়েনি শিশুটি। খেয়াল হতেই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা ও পরিবারের লোকেরা। পরে মা বাড়ির লোকেদের পিছনের ডোবায় খুঁজতে বলেন। সেই মতো ডোবায় নেমে খুঁজতে গিয়েই উদ্ধার হল বছর তিনেকের সেই শিশুর দেহ! বৃহস্পতিবার নদিয়ার চাপড়া থানার গোয়ালডাঙা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ডোবা থেকে শিশুটিকে তুলে এনে তড়িঘড়ি চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মায়ের বিরুদ্ধেই সন্তান খুনের অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের বাকি সদস্যেরা। অন্য দিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (সদর) সঞ্জয়মীত সিংহ বলেন, ‘‘দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে যা উঠে এসেছে, তাতে খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম আহাদ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার দেহ উদ্ধারের পর পরিবারের বাকি সদস্যেরা মা নছিমা বিবির বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুলেছেন। পরিবার সূত্রে দাবি, ছেলের মৃত্যুর পর নছিমাকে যখন প্রশ্ন করা হচ্ছিল, তখন অসংলগ্ন জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, যখন বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি চলছিল, তখন নছিমার কথাতেই ডোবায় নেমে খোঁজা শুরু হয়। সেই ডোবা থেকেই আহাদের দেহ উদ্ধার হওয়ায় পরিবারের বাকি সদস্যদের সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে।
পড়শিরা জানান, বছর পাঁচেক আগে গোয়ালডাঙার বাসিন্দা আনোয়ার মণ্ডলের সঙ্গে নছিমার বিয়ে হয়। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই অশান্তি লাগত। এর আগেও নিজের সন্তানকে নছিমা প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকেরা। শিশুটির কাকা সাবির মণ্ডলের দাবি, ‘‘এর আগেও ভাইপোকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ওর অন্য জনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে। নিজের ছেলেকে খুন করে তার সঙ্গে বিয়ে করতে চায়।’’
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন নছিমা। তিনি বলেন, ‘‘’’আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে। নিজের ছেলেকে কেউ কোনও দিন খুন করতে পারে?’’