ডলফিনের দেহ। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গায় মিলল একটি মৃত ডলফিন বা শুশুক। মঙ্গলবার সকালে এলাকার জেলেরা গঙ্গায় মাছ ধরতে গিয়ে এই ডালফিনটিকে বেনিয়াগ্রামের কাছে জলে ভাসতে দেখে গঙ্গার পাড়ে নিয়ে আসে। খবর দেওয়া হয় রাজ্য বন দফতরকে। এ দিনই ফরাক্কায় প্রাণী সম্পদ দফতরে ডলফিনটিকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বন দফতরের রেঞ্জার মাধব চন্দ্র সর্দার জানান, ডলফিনটি লম্বায় ৯ ফুট ২ ইঞ্চি। গলা ৪ ফুট। ওজনে ১৩৩ কিলো ১৫০ গ্রাম। গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। এদিনই ময়না তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট বুধবার পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ফরাক্কার গঙ্গায় বহু দিন থেকে বেশ কিছু ডালফিন রয়েছে। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, মাঝে মধ্যেই মাছ ধরতে গিয়ে ডলফিন ভেসে উঠতে দেখা যায়। যেহেতু ডলফিন সংরক্ষিত জলজ প্রাণী তাই তা শিকার করা যায় না। ১৯৯৭ সাল থেকে এ দেশে ডলফিন সংরক্ষণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বর্ধমানের কাটোয়ায় রাজ্যের প্রথম ডলফিন সংরক্ষণ কেন্দ্রও গড়ে উঠেছে। এগুলি যাতে কেউ শিকার না করে তার জন্য নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বন দফতরের বিশেষজ্ঞদের মতে, গাঙ্গেয় ডলফিন অন্ধ হয়। এরা আলট্রা সোনিক ইকোর সাহায্যে শিকার ধরে। এরা মাঝে মধ্যেই জল থেকে ভেসে ওঠে বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করার জন্য।
ফরাক্কায় অতীতে ডলফিনের মৃত্যুর কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া ডিভিসনের বন অধিকর্তা প্রদীপ বাউরি বলেন, “প্রাণী সম্পদ দফতরের কাছ থেকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”