WB Panchayat Election 2023

পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির ঘটনায় ডোমকলে গ্রেফতার ৫২ জন

ডোমকল মহাকুমার একাধিক ব্লক মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গত শনিবার, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডোমকলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ ০১:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই শিরোনামে মুর্শিদাবাদ। মনোনয়নে অশান্তির যে চিত্র গত দু’দিন ধরে দেখা গিয়েছে ডোমকলে, সেই ঘটনায় মোট ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে ডোমকল থানার পুলিশ। ওই ৫২ জনের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবারই সকলকে আদালতে হাজির করানো হয়।

Advertisement

ডোমকল মহাকুমার একাধিক ব্লক মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গত শনিবার, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনেও বার বার উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডোমকলে। বামেদের অভিযোগ, তারা মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বিডিও অফিসের সামনে আটকে দেয় তৃণমূলের লোকজন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পাল্টা উইকেট, কোদালের বাঁটে পতাকা বেঁধে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করেন বাম-কংগ্রেসের কর্মীরা। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্লক অফিস চত্বরে দু’পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টিও হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করার সময়েই সারাংপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বাসির মোল্লা কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল। বাসিরের কাছ থেকে শুধু অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রই নয়, ৪ রাউন্ড গুলিও মিলেছিল। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতেরও নির্দেশ দিয়েছে।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার তৃতীয় দিন অর্থাৎ সোমবারেও ডোমকলে সংঘর্ষে জড়াল কংগ্রেস এবং তৃণমূল। তবে এ বার উলটপুরাণ! মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে আসা শাসকদলের নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে শেখপাড়া বাজার মোড়ে পথ অবরোধ করেছিলেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে আসছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মূলত কালিনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী-সমর্থকেরাই ছিলেন ওই মিছিলে। নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন অঞ্চল সভাপতি। শেখপাড়া বাজার অতিক্রম করার সময় অবরোধের মুখে পড়ে সেই মিছিল। বচসা শুরু হয়ে দু’পক্ষের মধ্যে। পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। তৃণমূলের অভিযোগ, দলের অঞ্চল সভাপতিকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। জখমও হয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেসের দাবি, শাসকদলের লোকেরাই প্রথমে হামলা চালিয়েছে। পরে অবশ্য পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement