খোঁজ নেই কলিম শেখের। দুশ্চিন্তায় ডুবে পরিবার। ছবি: কৌশিক সাহা
নির্বাচনের মুখে বিবাদটা বেধেছিল পঞ্চায়েতের এক মহিলা সদস্যের সঙ্গে। তার জের যে রয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারেননি কান্দির যশোহরি গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের হারি বিবি।
আর তার জেরেই রীতিমতো ‘অপহরণ’ করা হয়েছে ওই মহিলা সদস্যের ভাই কলিম শেখকে। কান্দি থানায় মঙ্গলবার এই মর্মে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জলিল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছেন হারি বিবি।
পুলিশ জানাচ্ছে, রবিবার কলিম গিয়েছিলেন বড়ঞার কুলি মোড়ে। সে রাতে আর ফেরেননি তিনি। শুধু সেই রাত-ই নয়, কলিমের কোঁজ মিলছে না গত দু’দিন ধরে। এ দিন তাই কান্দি থানায় অপহরণের অভিযোগ করেছেন কলিমের পরিবার। কিন্তু কেন অপহরণ করা হল তাঁকে?
কলিমের স্ত্রী চায়না বিবি বলছেন, ‘‘জলিল এখন তৃণমূলে নাম লেখালেও ও আসলে সমাজ বিরোধী।’’ কান্দি কুলি সড়কে একটি ছিনতায়ের ঘটনায় সদ্য জড়িয়েছে তার নাম। পুলিশ তদন্ত করে জলিল শেখের কাছে থেকে ওই ছিনতাইয়ের টাকাও উদ্ধার করেছে। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই তার জামিনও মিলে গিয়েছে।
জেল থেকে বেরিয়েই সে হুমকি দিতে শুরু করেছিল হারি বিবিকে। তার সন্দেহ, ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় হারি বিবিই জড়িয়েছে তাকে। ইতিমধ্যেই মারধরও করেছে হারি বিবির পরিবারকে। যার জেরে হারির অসুস্থ কাকা দুলাল শেখ মারাও গিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এর পরেই নিখোঁজ হয়ে যান কলিম। চায়না বিবি বলেন, “জলিল শেখরা আমার স্বামীকে অপহরণ করেছে। আমি থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে অবিযোগ করেছি। কিন্তু অভিযুক্তরা এলাকায় ঘোরাফেরা করার পরেও তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছেনা।”
যশোহরি আনোখা ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কংগ্রেসের হারি বিবি বলেন, “তৃণমূল অপহরণের রাজনীতি করছে। পরিকল্পিত ভাবেই আমার ভাইকে অপহরণ করেছে।’’
তৃণমূল অবশ্য ওই অভিোগ মানতে চায়নি। তবে পুলিশ জানায়, জলিল এলাকায় পরিচিত সমাজবিরোধী। কান্দির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, “ন’জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”