—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা। চার দিক ঢাকল সাদা ধোঁয়ায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ফাটল চাষের জমিও। জখম হলেন তিন জন। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার নাজিরপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় একটি আমবাগানে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর বাড়িতে সকেট বোমার ব্যবসা করেন। তাঁর মাথায় রাজনৈতিক দলের হাত থাকায় কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ। সেই লতিফের জন্যই বিস্ফোরণ ঘটেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন, ‘‘বিক্রির জন্য আমবাগানে মজুদ রাখা ছিল বোমা। সেখান থেকেই ওই বিস্ফোরণ হয়েছে।’’ বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা জখম অবস্থাতেই লুকিয়ে পড়েন।
ওই বিস্ফোরণের পাশাপাশি, বেলডাঙা থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই জার ভর্তি তাজা সকেট বোমা এবং একটি দেশি পাইপ গান। একই দিনে বেলডাঙা থানা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যক্তি। উদ্ধার হয়েছে পাইপ গান এবং কার্তুজ। ডোমকলেও দেশি বন্দুক এবং গুলি-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডোমকল বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম গোলাম মোস্তাফা। দিনভর জেলায় বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। উদ্ধার হওয়া বোমা নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় কোনও রকম বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত সেই কাজে অনেকটাই সফলতা মিলেছে।’’