—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের স্বচ্ছতা বাড়াতে প্রয়োজনে বড়সড় রদবদলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক একটি বৈঠকে আইএএস অফিসার বিবেক কুমারকে ওই দফতরের দায়িত্বে এনে সামগ্রিক সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সূত্র ধরে গোটা রাজ্যে সম্প্রতি ৪১৬ জন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসার (বিএলএলআরও) এবং মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসার (এসডিএলএল)-কে রদবদল করল নবান্ন। কয়েক জনের বদলি পুরোপুরি শাস্তিমূলক। বুধবার বদলি করা হয়েছে ৭২ জন রাজস্ব আধিকারিককেও (রেভিনিউ অফিসার)। শীঘ্রই আরও একটি বদলি নির্দেশিকা প্রকাশ করবে ভূমি দফতর।
নবান্ন সূত্রের বক্তব্য, বিএলএলআরও (রাজারহাট)-কে বদলি করা হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে। একই ভাবে বিএলএলআরও (বারাসত-২), বিএলএলআরও (স্বরূপনগর)-কেও তুলনায় অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিপুল অভিযোগ থাকায় এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে বাকি অফিসারদের বদলি প্রশাসনিক প্রয়োজনে এবং স্বচ্ছতা ও গতি আনার স্বার্থে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সচিবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ছিল— স্বচ্ছতা ফেরাতে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এ ব্যাপারে শুধুমাত্র তাঁর সঙ্গে কথা বললেই চলবে।
ভূমি-কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকার লক্ষ করেছে, এক পদে দীর্ঘদিন (বিশেষ করে ভূমির মতো দফতরে) কেউ থাকলে নানা ধরনের স্বার্থ-চক্র তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণে এত বড় রদবদল একসঙ্গে করা হল। ভবিষ্যতে এমন নীতি মেনে চলার বার্তাও দিল দফতর।
এ দিনই ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক পদে রদবদল করেছে নবান্ন। লোকসভা ভোটের সময়ে সেই পদে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা মৌমিতা গোদারা বসুকে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক পদে বসিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই পদে আগের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালকে ফেরাল নবান্ন। মৌমিতাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।