ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক নবান্নের। ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে এ বার জেলাশাসকদের সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের অন্য আধিকারিকদেরও উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে এই নির্দেশে। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও। ভার্চূয়াল মাধ্যম এই বৈঠকে যোগ দেন উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ ডেঙ্গি কবলিত বেশ কয়েকটি জেলার জেলাশাসকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্লক স্তরে নেমে কাজ করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। জল, জঞ্জাল জমে থাকার ব্যাপারে মহকুমাশাসক এবং বিডিওদের তদারকি করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের নিয়েই জেলাশাসকে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সমন্বয় রক্ষা করে এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে জেলাভিত্তির রিপোর্টও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবনকেও নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে নির্দেশে। এ ছাড়া জেলায় জেলায় পাঠাতে হবে কলকাতার ডেঙ্গি বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, বৈঠকে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। নজরদাবি বাড়াতে বলা হয়েছে শিলিগুড়ির পরিস্থিতির উপরেও। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মানডবীয়কে প্রতিনিধিদল পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেদিকে নজর না দিয়ে বরং নিজেদের কাজে গতি এনে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় রাজ্য সরকার।
জেলাস্তরের দায়িত্ব জেলাশাসকদের দেওয়া হলেও, কলকাতার ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকছে কলকাতা পুরসভা। যে হেতু মেয়র ফিরহাদ হাকিমই পুর ও নগরোন্নয়ণমন্ত্রী। তাই তাঁকে পুর দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ করতে বলা হয়েছে।