নবান্ন। ফাইল চিত্র।
শনিবার কলকাতার রাজপথে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। তা-ও আবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। সেই ব্যস্ততার মধ্যেই অনলাইনে সক্রিয় হয়ে গেল নবান্ন। রাজ্য সরকারের সব অফিসে টানা পুজোর ছুটি চলছে। লক্ষ্মীপুজোর পর, আগামী মঙ্গলবার থেকে সরকারি অফিস খুলবে। কিন্তু শনিবার থেকে ‘ই-অফিসের’ মাধ্যমে অনলাইনে কাজকর্ম শুরু করা হল। জরুরি কাজের জন্য সব সরকারি অফিসে টানা পুজোর ছুটির মাঝেই ক’দিন কিছু কর্মী-আধিকারিককে যেতে হয়েছে। পুজোর ছুটির মধ্যে কয়েকটি দিন কাজ করার জন্য অফিসগুলিতে বিশেষ রোস্টার তৈরি করা হয়েছিল। তবে শনি ও রবিবারের পাশাপাশি অষ্টমী-দশমীর দিন অফিস পুরোপুরি বন্ধ ছিল। তবে, এই ছুটির মধ্যেও নবান্নের কন্ট্রোল রুম পুজোর দিনগুলিতেও ২৪ ঘণ্টাই চালু ছিল।
সরকারি অনেক দফতরে এখন কাজকর্ম অনলাইনে ‘ই-অফিস’ পোর্টালের মাধ্যমে হয়। তাই আধিকারিকরাও অনলাইনে ফাইল দেখতে পারেন। শনিবার থেকে ই-অফিস ফের চালু হলে অফিসাররা বাড়ি থেকে জরুরি কাজে বসেছেন। তবে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কিংবা স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকার মতো শীর্ষ আধিকারিক অনলাইনে অফিসে যোগ দিতে পারেননি। কারণ, ধর্মতলার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালের আয়োজনের বড় দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা। শনিবার অর্থ দফতরের কিছু শীর্ষ আধিকারিক অনলাইনে কাজ করেছেন।পুজোর ছুটিতে সরকারি ‘ই-অফিস সার্ভার’ কাজ করেনি। সরকারি কাজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এই সার্ভারে এই ক’দিন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সেই কাজ যথা সময়ে হয়ে যাওয়ায় নবান্নকে ছুটির মরসুমেও অনলাইনে সচল করতে অসুবিধা হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
রাজ্য সরকারি দফতরের আধিকারিকরা তাঁদের নির্দিষ্ট আইডি দিয়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন দিয়ে লগ-ইন করে যাবতীয় ফাইলের অনুমোদন দিতে পারার সুবিধা রয়েছে। ফলে সরকারি শীর্ষ আধিকারিকরা বাড়িতে বসে সহজেই জরুরি ফাইলের সমস্ত কাজ সারতে পারবেন আগামী ক’দিন। সরকারি স্তরে পুজোর ছুটি ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। ১২ তারিখ থেকে এমনিতেই সচল হবে সরকারি অফিস। কিন্তু, রাজ্য প্রশাসনকে তার আগে সক্রিয় করে দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শনিবার থেকেই অনলাইনে নবান্নকে সচল রাখা হয়েছে।