কী কারণে বাচ্চাটিকে এ ভাবে খুন করলেন অভিযুক্ত মহিলা, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। —নিজস্ব চিত্র।
ধারালো বঁটি দিয়ে নাবালিকা মেয়ের মাথা কেটে ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। বুধবার সাতসকালে ভরা বাজারে এসে চিৎকার করে মেয়েকে খুনের কথা বলতে থাকেন ওই মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দেখেন, সত্যিই মহিলার বিছানায় পড়ে রয়েছে তাঁর ৯ বছরের মেয়ের রক্তাক্ত দেহ। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার বিদ্যাপীঠ মোড় এলাকায় এই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা। ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলার নাম সাগরিকা পাত্র। তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ পাত্র পেশায় মোবাইল মেকানিক। খেজুরির বিদ্যাপীঠ বাজারে ভাড়া করা দোকানের পিছনেই বসবাস করতেন তাঁরা। দম্পতির বছর নয়ের মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী বলে দাবি এলাকাবাসীর। তাঁর মায়েরও মানসিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তবে কী কারণে বাচ্চাটিকে এ ভাবে খুন করলেন ওই মহিলা, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খেজুরি থানার বিদ্যাপীঠ মোড় বাজারে সকাল ৯টা নাগাদ এক মহিলার চিৎকারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। নাবালিকা মেয়ের মাথা কেটে ফেলেছি বলে বাজারে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। বলতে থাকেন, ‘‘ও বলেছিল, মা রান্না করো। এ বার আর জ্বালাবে না। আমি ওর মাথা কেটে দিয়েছি। মাথা কেটে বেশ করেছি। আমার মেয়ের মাথা আমি কেটে দিয়েছি।’’ কৌতূহলী হয়ে ছুটে আসেন বাজার করতে আসা লোকজন। মহিলার ঘরে গিয়ে দেখেন, সত্যিই তাঁর বাচ্চা মেয়েটির ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে পড়ে রয়েছে বিছানায়। এর পরেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। মহিলাকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে খেজুরি থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা। (ইনসেটে) মেয়েকে খুনে অভিযুক্ত সাগরিকা পাত্র। —নিজস্ব সংবাদদাতা।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার কথাবার্তায় অসঙ্গতি রয়েছে। উনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই স্থানীয়দের দাবি। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটালেন অভিযুক্ত মহিলা, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।