কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী বিধায়কদের মধ্যে পাঁচজন মেঘালয়ের দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির (ইউডিপি) সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। দলের সংগঠনেও যাদের নেওয়া হয়েছিল, তাঁরাও আর সেভাবে কাজ করছেন না। এ কথা জানতে পেরেই জরুরি ভিত্তিতে দুই নেতাকে কলকাতায় আসতে বলা হয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেই মেঘালয়ের বিধায়কদের গতিবিধির কথা ওই রাজ্যের নেতাদের একাংশ থেকে জেনেছিল কালীঘাট।
মুকুল সাংমা-সহ মেঘালয় তৃণমূলের সভাপতিকে কলকাতায় ডেকে পাঠাল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ফাইল চিত্র
মেঘালয় তৃণমূল নেতৃত্বকে কলকাতায় তলব করল শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, মেঘালয় তৃণমূল সভাপতি চার্লস পিংরোপ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতা এসে দেখা করতে বলা হয়েছে। কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী বিধায়কদের মধ্যে পাঁচজন মেঘালয়ের দল ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (ইউডিপি) সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। দলের সংগঠনেও যাঁদের নেওয়া হয়েছিল, তাঁরাও আর সেভাবে কাজ করছেন না। এ কথা জানতে পেরেই জরুরি ভিত্তিতে দুই নেতাকে কলকাতায় আসতে বলা হয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেই মেঘালয়ের বিধায়কদের গতিবিধির কথা ওই রাজ্যের নেতাদের একাংশ থেকে জেনেছিল কালীঘাট। তাই একেবারে শেষ মুহূর্তে নিজের মেঘালয় সফর বাতিল করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ মে মেঘালয় সফরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
গত বছর ৩০ নভেম্বর কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মুকুল-সহ কংগ্রেস বিধায়কদের তৃণমূলে স্বাগত জানিয়েছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ও তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সুব্রত বক্সী। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করে আসেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল-সহ দলের অন্য়ান্য নেতারা। ওইদিন রাতেই মেঘালয়ের দলীয় সভাপতি হিসাবে বিধায়ক চার্লস পিংরোপের নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী।
১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন মেঘালয়ের মুকুল, সেই দলেই রয়েছেন সভাপতি পিংরোপও। এই ১১ জন তৃণমূলের আসায় মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৮ থেকে কমে হয় ছয়। ফলে সেই সময় থেকেই মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। কিন্তু ওই ১১ জন বিধায়কের মধ্যেই পাঁচজন ইউডিপি-র যোগাযোগে থাকা দুশ্চিন্ত বেড়েছে তৃণমূলের। কারণ, বুধবারই অসম সফরে গিয়ে আগামী বছরের নির্বাচনে ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে ক্ষমতা দখলের হুঙ্কার ছেড়েছেন অভিষেক। তারপরেই ওই পাঁচ বিধায়কের দল ছাড়ার ইঙ্গিত মেলায় কলকাতায় ডাকা হয়েছে বিরোধী দলনেতা ও রাজ্য সভাপতিকে। কারণ, বিধায়করা বিধানসভা ভোটের আগেই দলত্যাগ করলে দেশের উত্তর পূর্ব প্রান্তে তৃণমূলের রাজনীতি অনেকটাই ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা।