মুকুল রায়। ফাইল চিত্র।
টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করল কালীঘাট থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাঁকে প্রায় দু’ঘণ্টা জেরা করা হয়।
পুলিশ জানায়, একদা মুকুল ঘনিষ্ঠ সুজিত শ্যাম নামে এক ছাত্র নেতা গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আলিপুর আদালতে ওই অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ ছিল, অপরিচিত এক ব্যক্তি ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে ফোন করে জানান, মুকুল রায় তাঁকে (সুজিতকে) টাকা দিতে বলেছেন।
সুজিতের সন্দেহ হয়, অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিলে তিনি ফেঁসে যেতে পারেন। এর পরেই আলিপুর আদালতে মুকুলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ জানান। মুকুলের ঘনিষ্ঠ হয়েও কেন তিনি আদালতে ওই অভিযোগ করলেন সেই ব্যাপারে এ দিন ওই ছাত্র নেতাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
পুলিশ জানায়, আলিপুর আদালতের নির্দেশে কালীঘাট থানায় ওই ঘটনায় মুকুল ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভয় দেখানো, ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মুকুলের আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত ও প্রশান্ত মজুমদার জানান, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের আদালতে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। ৮ জানুয়ারির শুনানিতে বিচারপতি মুকুলকে তদন্তে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুলকে ডেকে পাঠানো হলে তাঁকে পাঁচ দিন আগে জানাতে হবে। তদন্তকারী অফিসার ১৬ জানুয়ারি কালীঘাট থানায় ডেকে পাঠান।
কিন্তু মুকুল জনিয়ে দেন, ওই দিন তিনি হাজির হতে পারবেন না। তিনি এ দিন হাজির হন।
এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ সেরে থানার বাইরে মুকুল বলেন, ‘‘বামফ্রন্টের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়নি। কিন্তু গত দু’বছরে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪১টি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।’’